
‘দর কষাকষি’
তাপস চক্রবর্তী
১০
দোহাই ঈশ্বর-এই শরতে তুমি কুণ্ঠিত হও
লজ্জিত হও এই মায়াবী রাতে।
যদি বোধদয় হয় তোমার-পাথর ফসিলে
যদি নিয়ম করো শত অনিয়মের মাঝে-
যদি জ্যোৎস্নায় শুয়ে খোঁজো লিঙ্গান্তর
যদি কুয়াশায় খোঁজো বিগত রহস্য,
তবে-
তোমার ঐশ্বরিক মালিকানা ছেড়ে দাও
কবি-ই হোক আজ থেকে তোমার ঈশ্বর।
কেনোনা তোমার নৈকট্যের ষড়যন্ত্রে
দর ককষাকষিতে-ই অবলায় ধর্ষিত হয়
বাসে ট্রামে-পিতার গৃহে।
দোহাই ঈশ্বর-
এবার ক্ষান্ত হও কুণ্ঠিত হও লজ্জিত হও।
১১
ঈর্ষারা ভদ্র তাই করে না-দর কষাকষি
বারাঙ্গনারা অভদ্র তাই করে-
ক্ষুধার অমৃত পাশায়।
কামুক পুরুষ খেলে আঁধারের মন্ত্রণায়
যদিও চাঁদ জাগে পুরুষত্বের জোছনায়।
কে যেন বলেছিলো কাল আমায়-
ঈশ্বর ঈর্ষা থাকে যেন কোথায়!
১২
হরতনে ট্রাম মেরেছি-
চিরতনের মহামিলনে
তবুও বুকে পকেটে কড়কড়ে নোট
যেটা কাল পেয়েছি তোকে হঠিয়ে।
চাইলে তুই অনায়াসে
শুয়ে পড়তে পারিস
সবুজ ঘাসের বুকে-
দু’দণ্ড খুঁজে নেবো সুখ-
অমৃত বুকে চাঁদের ছায়া দেখবো
তোর বুকের ভাঁজে
শরতের মেঘ দেখবো
তোর চোখের নীলে
তারপর গুছিয়ে নেবো
সকল জ্যোৎস্না-
হঠাৎ-
ইসকাবনের বিবি দেবো
রুহিতনের গোলামে
ছিঃ ছিঃ ছিঃ অস্পশ্য জীবন।
তুই চাইলে বুক পকেটের
হাজার নোট দেবো-
মাত্র একটা কবিতার সঙ্গমে।
nice dada