ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, আমরা জানতে পেরেছি জামায়াত বিক্ষোভ মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ কর্মসূচি ঘিরে তারা বিভিন্ন অপতৎপরতা চালাচ্ছে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে।
আমাদের কমিশনার স্যারের কাছে (ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক) তারা (জামায়াত) যে আবেদন করেছিল জানমালের কথা চিন্তা করে তিনি নিষেধ করেছেন। এখন জামায়াত যদি পুলিশের কথা অমান্য করে, পুলিশের কথা না শুনে জোর করে আইনশৃঙ্খলা বিঘ্ন করে, জানমালের ক্ষতি করে বিক্ষোভ করতে চায়; সে ক্ষেত্রে পুলিশ আইনগত প্রক্রিয়ায় যা করার তাই করা হবে। প্রয়োজনে কঠোর অ্যাকশন নেয়া হবে।
তাহলে কি জামায়াত অনুমতি পাচ্ছে না, এমন প্রশ্নে ডিবি প্রধান বলেন, আমি তো বলেছি আগামীকাল সোমবার অফিস-আদালত খোলা। মানুষ অফিস-আদালতে যাবে, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাবে। এখন এদিক বিবেচনা করে আমাদের কমিশনার মহোদয় কাউকে অনুমতি দেননি। আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে, জানমালের ক্ষতি হতে পারে, এসব বিবেচনা করে জামায়াত-শিবির চক্রের যারা মিছিল করতে চায় তাদের অনুমতি
দেওয়া হয়নি। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলা আছে, তারা যেন কর্মসূচি না করেন। তাই নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও তারা যদি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কথা অমান্য করে, জোর করে জানমালের ক্ষতি করে, গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে, বিক্ষোভ সমাবেশ করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিঘ্ন ঘটাতে চায়; সে ক্ষেত্রে আমরা আইনগত প্রক্রিয়ায় এই উসকানিদাতাদের বিরুদ্ধে, অবৈধ সমাবেশের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবে।
রবিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতীয় নির্বাচনের আগে তারা প্রকাশ্যে সক্রিয় হচ্ছে এটা কীসের আলামত এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ‘হঠাৎ করে তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চায় তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’
বিভিন্ন জায়গা থেকে জামায়াতকে ফান্ডিং করা হচ্ছে জানতে চাইলে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘এটা নিয়ে তদন্ত চলছে।’
জামায়াতের যারা পাঁচ লাখ করে ফান্ডিং করছে এ ধরনের সদস্যদের তালিকা করা হচ্ছে। এমন ধরনের তথ্য পুলিশ পাচ্ছে। তাদের কীভাবে আটকাবেন জানতে চাইলে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এটা আমরা দেখতেছি। যাদের নিবন্ধন নেই, তাদের কারা ফান্ডিং করছে? তাদের পুলিশের
পক্ষ থেকে মিছিল-সমাবেশ করার অনুমোদন দেওয়া হয় না। তারা কাদের ছত্রচ্ছায়ায় কাদের ফান্ডিংয়ে সাহস নিয়ে সমাবেশ করতে চাচ্ছে; এটা আমরা তদন্ত করছি। এ অবৈধ সমাবেশের বিরুদ্ধে আমরা যা আইনগত ব্যবস্থা করার তাই করব।’
কোনো রাজনৈতিক দল তাদের ইন্ধন দিচ্ছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, এমনটা হতে পারে। কাদের ছত্রচ্ছায়ায় তারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।