ইউক্রেনে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। শনিবার (১২ মার্চ) ১৭ দিনের মতো রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ইউক্রেনের সেনারা।
এই যুদ্ধে ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেন। ২৫ লাখের বেশি মানুষ দেশটি ছেড়ে পাশের দেশগুলোতে শরণার্থী হয়েছে বলে জানায় জাতিসংঘ।
যুদ্ধের শুরু থেকেই রুশ সেনাদের হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির খবর প্রকাশ করে আসছে ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ। যদিও সেই খবর রাশিয়া বারবার অস্বীকার করেছে। কিন্তু ইউক্রেন সেনাদের নিহতের খবর খুব একটা পাওয়া যায়নি। এবার সেই হিসাব সামনে আনলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুদ্ধের সর্বশেষ পরিস্থিতি জানাতে শনিবার (১২ মার্চ) কিয়েভে সংবাদ সম্মেলন করেন জেলেনস্কি। সেখানেই তিনি এই তথ্য তুলে ধরেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, রুশ আক্রমণের প্রথম ১৭ দিনে প্রায় ১ হাজার ৩০০ ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
যদিও বিবিসি সেই তথ্য যাচাই করতে পারেনি। পশ্চিমা সূত্রগুলো শুক্রবার জানায়, এই যুদ্ধে অন্তত ৬ হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছেন।
দ্য মস্কো টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দাবি বলেছেন, এই যুদ্ধে ১২ হাজারের বেশি রুশ সেনা নিহত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ধারণা, এই সংখ্যা দুই থেকে চার হাজার। যদিও মস্কো গত সপ্তাহে জানায়, যুদ্ধে ৪৯৮ জন রুশ সেনা নিহত হয়েছে।
ইউক্রেনে ৫ শতাধিক রুশ সেনার ‘আত্মসমর্পণ’
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে পাঁচ শতাধিক রুশ সেনা আত্মসমর্পণ করেছেন বলে দাবি করেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, শুক্রবার ৫০০ থেকে ৬০০ রুশ সেনা ইউক্রেন বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করেছে।
যদিও ইউক্রেন প্রেসিডেন্টের সেই দাবি বিবিসি স্বাধীনভাবে এটি যাচাই করতে পারেনি।
এর আগে রুশ সেনাদের সতর্ক করে দিয়ে জেলেনস্কি বলেন, মানুষের মাথা ও মন দখল করা সম্ভব নয়। শুধুমাত্র অস্থায়ীভাবে ইউক্রেনের শহরগুলো দখল করা যাবে। তবে সেটাও চিরকালের জন্য নয়। আমি এ বিষয়ে পূর্ণ আস্থাশীল।