প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে আমরা অর্থ ধার নিই, কারো কাছে হাত পাতি না। কিন্তু তাদের ভাবখানা এমন ছিল যেন আমরা ভিক্ষা নিচ্ছি। পদ্মা সেতু হওয়ার পর এখন আর কেউ এত বেশি শর্ত দিতে সাহস পায় না, দেয় না।
বুধবার দুপুরে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণ করা আমাদের কাছে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জ ছিল। একটা বদনাম দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সেটাকে আমি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছিলাম। ঘোষণা দিয়েছিলাম, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নর্মিাণ করব। আমরা সেটা এখন করতে সক্ষম হয়েছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশকে উন্নত করতে চেয়েছিলেন। তার সেই স্বপ্ন পূরণের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ২১ বছর পর সরকার গঠনের জন্য সুযোগ পাই আমরা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীসহ প্রতিটি বাহিনী, প্রতিষ্ঠান যেন উন্নত হয় সেজন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ হাতে নিয়েছিলাম আমি। আমার লক্ষ্য ছিল, আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা। কেননা, শান্তি রক্ষা মিশনে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ বাহিনী কাজ করে। তারা যেন অন্যান্য দেশের সঙ্গে সমান তালে চলতে পারে, কখনো কোনোভাবে পিছিয়ে না থাকে সেদিকে খেয়াল রেখে আমি নানা পদক্ষেপ নেই।
শেখ হাসিনা বলেন, সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি দেশের প্রতিটি বাহিনী সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে। শুধু দেশে নয়, শান্তিরক্ষা মিশনেও যারা কাজ করে তাদের মধ্যে সবচেয়ে মানবিক গুণ হলো— তারা যে দেশে যায় সেখানে তাদের ওপর অর্পিত সব দায়িত্ব পালনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় মানুষদের সেবা দিয়ে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ কারণে তারা সবার কাছে একটা মর্যাদা পায়। আমি অনেক গর্ববোধ করি, কারণ যে দেশে আমাদের শান্তিরক্ষী বাহিনী কাজ করে সে দেশের সরকারপ্রধান, রাষ্ট্রপ্রধান যখন প্রশংসা করে তখন খুবই গর্ববোধ হয়। আমরা সম্মান পাচ্ছি, আর এটাকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের।