এটা মানতেই হবে যে, গত এক দশকে স্মার্টফোন আমাদের জীবনকে পাল্টে দিয়েছে। স্মার্টফোনের সঙ্গেই আবির্ভাব হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মের। এখন প্রায় সব কাজই নিজের ডাম্ব ফোন (Dumbphone) থেকে করা যাচ্ছে। কয়েক বছর আগেও ঘরে ঘরে নোকিয়া-মটোরোলার ফিচার ফোন থাকত। এই ফোনগুলি ফের একবার বাজারে প্রত্যাবর্তন করছে। আর নতুন নাম রাখা হয়েছে ডাম্বফোন। অর্থাৎ যে ফোনের বুদ্ধি স্মার্টফোনের মতো নয়। কিন্তু কেন এই ফোনের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে তরুণ প্রজন্ম?
বিবিসিতে প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে দ্রুত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে ডাম্বফোন। বিশেষ করে ভারত ও আফ্রিকার মতো দেশ যেখানে এখনও মাথা পিছু আয় অনেকটা কম সেখানে সাধারণ কলিং ও টেক্সট মেসেজের জন্য মানুষ এই ফোনগুলিকেই বেছে নিচ্ছেন। তবে শুধু আর্থিক কারণে নয়, অনেকে স্মার্টফোন থেকে দুরে থাকতেও ফিচার ফোনের দিকে ঝুঁকছেন।
স্মার্টফোনে সারাদিন ক্রমাগত বিভিন্ন তথ্য স্ক্রিনে ভেসে উঠতে থাকে। আর এই বিপুল পরিমাণ তথ্য জীবনকে অতিষ্ঠ করে দিচ্ছে বলে মনে করছেন তরুণ প্রজন্মের একাংশ। আর এই কারণেই নিজের স্মার্টফোন বিক্রি করে ফিচার ফোন অথবা ডাম্বফোন কেনার দিকে ঝুঁকছেন তাঁরা। এঁদের অনেকেই জানিয়েছেন স্মার্টফোন ব্যবহার বন্ধ করার কারণে জীবনে শান্তি ফিরে এসেছে। আগের থেকে অনেক বেশি আনন্দ উপভোগ করছেন বলেও জানিয়েছেন অনেকে।
কেউ কেউ আবার স্মার্টফোন চার্জিংয়ের ঝামেলা বাদ দিতে ফিচার ফোনের দিকে ঝুঁকেছেন। কেউ আবার সপ্তাহান্তে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে দুরে থাকতে কিনছেন এই ধরনের ফোনগুলি। তবে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, আন্তর্জাতিক সেলিব্রিটিরাও এই পথে হেঁটেছেন। জনপ্রিয় হলিউড তারকা সেলিনা গোমেজ বিগত কয়েক বছর ধরে স্মার্টফোন থেকে দুরে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্তের ফলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়েছে। এছাড়াও ভালো হয়েছে ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো।
এসব কারণেই সম্প্রতি একের পর এক নতুন ফিচার ফোন নিয়ে আসছে নোকিয়ার মতো সংস্থা। সম্প্রতি চারটি নতুন ফিচার ফোন লঞ্চ করেছে নোকিয়া। তবে চাইলে নিজের স্মার্টফোনকেও চাইলে ডাম্ব বানানো সম্ভব। এই জন্য এনড্রয়েড ফোনে Lessphone অ্যাপ ইনস্টল করতে পারেন। এই অ্যাপ ইনস্টল করার পরে প্রয়োজনীয় ৫-৬টি অ্যাপ ছাড়া আর কোন অ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না।