রাজধানীসহ সারা দেশে চলছে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা চতুর্থ দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন। অবরোধে আগুন আতঙ্ক ও গণপরিবহনের সংকট থ্বেকে যাত্রীদের মুক্তি দিয়েছে মেট্রোরেল।
অবরোধে যান বাহনের সংখ্যা কম ও আগুনের ভয় নেই বলে মানুষ যাতায়াতের বাহন হিসেবে বেছে নিচ্ছে মেট্রোকে। অপরদিকে যানজটের কোন শঙ্কা না থাকায় ভাড়া কিছুটা বেশি হলেও মানুষের কাছে ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে উঠছে মেট্রো।
আজ সোমবার সকাল থেকে সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন মেট্রো স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, প্রায় সবকটি স্টেশনেই যাত্রীদের ভিড়। তবে সবচেয়ে বেশী যাত্রী ছিল মতিঝিলগামী।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর চলতি মাসের ৫ তারিখে মেট্রোরেল খুলে দেওয়া হয় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। স্বাভাবিকভাবেই অবরোধের সকালে গণপরিবহন সংকটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েন অফিসমুখী মানুষ। তবে মেট্রো চালু হওয়ার পর তাদের এই ভোগান্তি অনেকটাই লাঘব হয়েছে।
মিরপুর, পল্লবী, কাজীপাড়া স্টেশনে অল্পকিছু যাত্রী নামলেও উঠছে তার চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। ফলে প্রতিটি কামড়ায় ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। স্টেশনে দেখা যায় দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট নিতে। এসব যাত্রীদের গন্তব্য ছিল মতিঝিল, সচিবালয়, ফার্মগেট ও আগারগাঁও।
গত কয়েকবছর ধরে মিরপুর থেকে বাসে যাতায়াত করে মতিঝিল যান বুরহান উদ্দিন। একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত বুরহান দেশ রূপান্তরকে বলেন, দীর্ঘ জ্যাম আর মানুষের ভিড় ঠেলে অফিস যাওয়ার একটা অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল। তুলনামূলক বাসা ভাড়া কম হওয়ার কারণে এদিকেই থাকতে হত। এখন মেট্রোরেল চালু হওয়ায় আমার ভোগান্তি কমে এসেছে।
শিরিনা বেগম নামে এক যাত্রী বলেন, অবরোধে বাসে আগুন দেওয়া একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে বাসা থেকে বের হয়ে অফিস পর্যন্ত বাসে পুরো রাস্তা আতঙ্ক নিয়ে যেতে হত। কিন্ত মেট্রোরেল আমাকে আগুন আতঙ্ক থেকে মুক্তি দিয়েছে।
মেট্রোরেলে ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে যাচ্ছিলেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শ্রাবণ। তিনি বলেন, মেট্রোরেলে মিরপুর থেকে মতিঝিল যেতে সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট সময় লাগে, কিন্ত আপনি যদি একই রাস্তা বাসে যেতেন তাহলে হয়তো আড়াই ঘণ্টা সময় লেগে যেত। মেট্রোতে একদিক দিয়ে সময় বাঁচছে আবার অন্যদিকে এসির বাতাস খেতে খেতে যাতায়াত করতে পারছি। জীবন এখন আনন্দের।