মনির হোসেন ঃ- ৩১ জুলাই বুধবার চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে, জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বশির আহমেদের (আইটিসি) পরিচালনায় প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
চাঁদপুর জেলায় ওএমএস ও টিসিবি কার্যক্রম সমন্বয় সাধনসহ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে প্রেস ব্রিফিং।
এসময় সভাপতি বলেন, আমরা কোন অনিয়মের মধ্যে থাকতে চাইনা। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই মহৎ উদ্যেগকে সফল করাই আমাদের লক্ষ্য।
জেলা পুলিশ সুপার মিলন মাহমুদ বলেন, আমরা সর্বোক্ষনিক নজর রাখবো। ইনশাআল্লাহ আমরা সবাই একসাথে মিলে কাজ করলে সফল হবো। তিন মাস ব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে।
প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন বলেন, রিমুভ এলাকার জন্য ঐ এলাকার কাছাকাছি ডিলারকে রিমুভ এলাকায় গিয়ে নুন্যতম একদিন হলেও এ কার্যক্রম পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, দৈনিক চাঁদপুর বার্তার সম্পাদক শহীদ পাটওয়ারী, দৈনিক আলোকিত চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক মিজানুর রহমান, দৈনিক চাঁদপুর কন্ঠের ম্যনেজার সেলিম রেজা, এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি তালহা জুবায়ের, দৈনিক চাঁদপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইকবাল, দৈনিক মতলবের আলোর সম্পাদক কে এম মাসুদ, দৈনিক প্রভাতী কাগজের সম্পাদক আবদুল আউয়াল রুবেল।
উপস্হিত চাঁদপুর জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার মোঃ শাহ জামাল ও প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দ।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের খাদ্য মন্ত্রণালয়, সরবরাহ শাখা-১এর নির্দেশনায় অনুযায়ী চাঁদপুর জেলা সদর পৌরসভার ১০টি কেন্দ্রে এবং হাজীগঞ্জ, মতলব দক্ষিণ, মতলব (উঃ), শাহরাস্তি, কচুয়া এবং ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদর পৌরসভার (মতলব দক্ষিণ উপজেলার নারায়নপুর পৌরসভার কার্যক্রম বর্তমানে নেই) ২৩ টি কেন্দ্রে এবং হাইমচর উপজেলা সদরে ২টি কেন্দ্রে সর্বমোট ২৫ টি কেন্দ্রে দৈনিক কেন্দ্র প্রতি ২ হাজার মেঃ টন করে ওএমএস কার্যক্রমে ভোক্তাদের নিকট চাল বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যা সপ্তাহে (শুক্রবার ও শনিবার ব্যতিত) ৫ দিন ও মাসে সবোর্চ্চ ২২ দিন হিসেবে (সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর) ৩ মাস ওএমএস কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়।
চাঁদপুর জেলা সদরে খাদ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক অনুমোদিত ১০ টি কেন্দ্রে ২ হাজার মেঃ টন করে দৈনিক ২০ হাজার মেঃটন চাল বিক্রির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ইতিপূর্বে চাঁদপুর জেলা সদরের পৌরসভার ১৫ ওয়ার্ডে ১৫ জন ডিলার নিয়োগপ্রাপ্ত রয়েছে বিধায় অনুমোদিত বরাদ্দ ১৫ জন ডিলারের মধ্যে সমহারে বন্টন করে ১৫টি কেন্দ্র চালু রাখা হয়েছে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
আজ ১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে সারাদেশে চলমান ওএমএস কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করে। মোট ২,০১৩ টি কেন্দ্রে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন যে টিসিবি কার্ডধারীগণও ন্যায্য মুল্যে ১০ কেজি হিসেবে চাল পাবেন।
সরকারের উক্ত জনবান্ধব কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে আজ ১ সেপ্টেম্বর থেকে চাঁদপুর জেলায় চলমান ওএমএস কার্যক্রম আরো সম্প্রসারিত করে চাঁদপুর পৌরসভা এলাকায় ১৫টি, জেলার বাহিরের ৬টি পৌরসভার ২৪টি এবং হাইমচর উপজেলায় ২টি সহ মোট ৪১ টি কেন্দ্রে প্রান্তিক জনসাধারণের জন্য ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। এক্ষেত্রে টিসিবি কার্ডধারীগণকে ওএমএস এর ন্যায় ন্যায্যমূল্যে প্রতি মাসে দুইবারে ৫ কেজি করে ১০ কেজি চাল প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলায় মোট ১,৪৫,১৪৭ জন টিসিবি কার্ডধারী এর আওতায় রয়েছে।
দৈনিক চাঁদপুর জেলায় বরাদ্দের তথ্যঃ-
চাঁদপুর পৌরসভা ১৫ টি কেন্দ্রে ১৫টি ডিলারের বরাদ্দ ২০ মে.টন, হাজীগঞ্জ পৌরসভায় 8 টি কেন্দ্রে ৪ টি ডিলারের বরাদ্দ ৮ মে.টন, ফরিদগঞ্জ পৌরসভায় ৪ টি কেন্দ্রে ৪ টি ডিলারের ৬ মে.টন, মতলব দক্ষিণ পৌরসভায় ৪ টি কেন্দ্রে ৪ টি ডিলারের বরাদ্দ ৮ মে:টন, মতলব উত্তর পৌরসভায় ৪ টি কেন্দ্রে ৪টি ডিলারের বরাদ্দ ৮ মে: টন, শাহরাস্তি পৌরসভায় ৪ টি কেন্দ্রে ৪ টি ডিলারের বরাদ্দ ৮. মে: টন, কচুয়া পৌরসভা 8 টি কেন্দ্রে 8 টি ডিলারের বরাদ্দ ৮ মে:টন, হাইমচর উপজেলায় ২ টি কেন্দ্রে ২ ডিলারের বরাদ্দ ৪ মেঃ টন। মোট ৪১ টি কেন্দ্রে ৪১ টি ডিলারের মাধ্যমে ৭০ মে.টন চাল ওএমএস পদ্ধতিতে দেয়া হবে।
এছাড়া জেলার নিম্ন আয়ের ও দরিদ্র লোকদের খাদ্য সহায়তা দেয়ার লক্ষ্যে আগামী সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে প্রত্যেক উপকারভোগী পরিবারকে মাসিক ৩০ টাকা কেজি হারে চাল প্রদান করা হবে। ইতোমধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিজিটাল ডাটাবেজের আওতায় ৫৩,২৭৭ টি পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ কর্মসূচি সফল করার জন্য ১২৬ জন ডিলারের মাধ্যমে প্রতিমাসে ১৫৯৮.৫০ মে.টন চাল বিতরণ করা হবে।