ঢাকা , রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
সাতক্ষীরার প্রতাপনগরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত তফশিল ঘোষণার তারিখ এখনো ঠিক হয়নি: ইসি সচিব আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস ফায়ার সার্ভিসের ৬২ হাজার স্বেচ্ছাসেবক তৈরির লক্ষ্যে কাজ চলছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা রউফ তালুকদারের সমর্থনে জামালপুর-১ আসনে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ সোনারগাঁয়ে ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যারিয়ার গাইডলাইন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত দারুল মাজিদ মাহমুদিয়া মাদ্রাসার তিন শিক্ষার্থী তিন গ্রুপে দ্বিতীয় স্থান অর্জন ঢাকাস্থ চাঁদপুর কল্যাণ ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত  ডামুড্যায় বিএনপিতে যোগ দিলো আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খোকন মাদবর সহ অর্ধশত নেতাকর্মী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির প্রার্থনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ডিইএব-এর দোয়া মাহফিল

আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস

সাংবাদিক

আজ ৬ ডিসেম্বর। পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। অবশেষে এখানে উড়ানো হয় স্বাধীনতার পতাকা।
এ উপজেলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া যুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুল্লাহ রানা।
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, হাবিবুর রহমান শওকত, নির্মল রক্ষিত, রেজাউল করিম বিশ্বাস, নাজমুল হুদা ছালেক, শাহ আলম তালুকদার, সাজ্জাদুল ইসলাম বিশ্বাস, আরিফুর রহমান মুকুল, আহম্মেদ আলী, আশরাফ আলী ও আবু তালেব।
আক্রমণ পরিচালনাকারী হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, ৪ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানী পতাকাবাহী ৮-১০ জনের একদল ‘ভাট্রি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে আসছিল। গলাচিপা অতিক্রম করার সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা জাহাজটির গতি রোধ করে একে তীরে নোঙ্গর করায়। জাহাজ থেকে সকলকে নামিয়ে গলাচিপার সার্কেল অফিসারের কাছে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখে জাহাজটি নিয়ে তারা কলাপাড়ায় আসেন। সেই দিন রাত ৮টার দিকে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। রাত ৩টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় আক্রমণ চালালে পাক-হানাদাররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। অবশেষে ৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে কলাপাড়াকে রাজাকার মুক্ত করা হয়।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরো পটুয়াখালী জুড়েই মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা দ্রুত এগোতে থাকে। সুবিদখালী, মহীপুর, লতাচাপলী একটার পর একটা এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। ৬ ডিসেম্বর খুব ভোরে তিন দিক থেকে ঘিরে কলাপাড়া থানায় আক্রমণ করে মুক্তি বাহিনী। এখানেই পাক সেনাদের অবস্থান ছিল। কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ের পর পাকিরা আত্মসমর্পণ করে এবং কলাপাড়া পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়।
কলাপাড়া মুক্ত দিবসে মুক্তি যোদ্ধা ও স্বাধীনতার প্রতি সম্মান, গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এই মাটির প্রতিটি মানুষের অন্তরে অন্তরে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫
৫১৯ Time View

আজ পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস

আপডেটের সময় : ০২:৫৯:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫

আজ ৬ ডিসেম্বর। পটুয়াখালীর কলাপাড়া মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে মুক্তিযোদ্ধাদের তোপের মুখে পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসররা আত্মসর্মপণ করতে বাধ্য হয়। অবশেষে এখানে উড়ানো হয় স্বাধীনতার পতাকা।
এ উপজেলায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া যুদ্ধে আক্রমণ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন হাবিবুল্লাহ রানা।
অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন, হাবিবুর রহমান শওকত, নির্মল রক্ষিত, রেজাউল করিম বিশ্বাস, নাজমুল হুদা ছালেক, শাহ আলম তালুকদার, সাজ্জাদুল ইসলাম বিশ্বাস, আরিফুর রহমান মুকুল, আহম্মেদ আলী, আশরাফ আলী ও আবু তালেব।
আক্রমণ পরিচালনাকারী হাবিবুল্লাহ রানা বলেন, ৪ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানী পতাকাবাহী ৮-১০ জনের একদল ‘ভাট্রি’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে আসছিল। গলাচিপা অতিক্রম করার সময়ে মুক্তিযোদ্ধারা জাহাজটির গতি রোধ করে একে তীরে নোঙ্গর করায়। জাহাজ থেকে সকলকে নামিয়ে গলাচিপার সার্কেল অফিসারের কাছে নিরাপত্তা হেফাজতে রেখে জাহাজটি নিয়ে তারা কলাপাড়ায় আসেন। সেই দিন রাত ৮টার দিকে পাক-হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় দোসরদের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধারা। রাত ৩টার দিকে মুক্তিযোদ্ধারা পুনরায় আক্রমণ চালালে পাক-হানাদাররা পিছু হটতে বাধ্য হয়। অবশেষে ৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টার দিকে কলাপাড়াকে রাজাকার মুক্ত করা হয়।
ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পুরো পটুয়াখালী জুড়েই মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রযাত্রা দ্রুত এগোতে থাকে। সুবিদখালী, মহীপুর, লতাচাপলী একটার পর একটা এলাকা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে আসে। ৬ ডিসেম্বর খুব ভোরে তিন দিক থেকে ঘিরে কলাপাড়া থানায় আক্রমণ করে মুক্তি বাহিনী। এখানেই পাক সেনাদের অবস্থান ছিল। কয়েক ঘণ্টার লড়াইয়ের পর পাকিরা আত্মসমর্পণ করে এবং কলাপাড়া পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয়।
কলাপাড়া মুক্ত দিবসে মুক্তি যোদ্ধা ও স্বাধীনতার প্রতি সম্মান, গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা এই মাটির প্রতিটি মানুষের অন্তরে অন্তরে চির স্মরণীয় হয়ে থাকবে।