পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছিলেন সীমা আক্তার (২২) নামের এক তরুণী। ছয় দিন ধরে অনশন করার পরও মেনে না নেওয়ায় বাবার বাড়িতে গিয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি।
শনিবার (৭ মে) সকাল ১০ টায় উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মানসুরাবাদ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি টের পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন তার পরিবারের সদস্যরা। বর্তমানে ওই তরুণী সুস্থ আছেন।
সীমা আক্তার (২২) উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা। রায়হান উপজেলার আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের ছৈলাবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং সুবিদখালী বাজারের সার ও কীটনাশক বিক্রেতা।
হাসপাতালে সীমা আক্তার জানান, বিয়ের দাবি নিয়ে রায়হানের বাড়িতে আসলে রায়হান পালিয়ে যায়। সেখানে পাঁচদিন অবস্থান করার সময় তাকে রায়হানের মা ও বাবা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেন এবং বিষপানে আত্মহত্যা করতে বলেন।
সীমা আক্তার বলেন, “শুক্রবার রাতে আমার বাবা আসলে নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আমি বাবার সঙ্গে বাড়িতে চলে যাই। এরপর মানসিকভাবে ভেঙে পড়ায় কোনো উপায় না পেয়ে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করি। বাসার লোকজন টের পেয়ে আমাকে হাসপাতালে আনে।”
সীমা আরও জানান, সাড়ে চার বছর আগে দক্ষিণ কলাগাছিয়া গ্রামের শহীদুল্লাহর সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে তিন বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে। দাম্পত্যে কলহের কারণে আত্মহত্যা করতে চাইলে রায়হানের দোকান থেকে বিষ কিনতে যান। এ সময় রায়হান তাকে বাধা দিলে তাদের মধ্যে সহমর্মিতা ও সহানুভূতির সৃষ্টি হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। সম্পর্ক চলাকালে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সীমার সঙ্গে বহুবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ান সীমা।
রায়হান কৌশলে আগের স্বামীকে তালাক দিতে বাধ্য করান বলেও অভিযোগ করেন সীমা আক্তার।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন তালুকদার বলেন, “বাবার বাড়িতে বসে বিষপান করেছে বলে জানতে পেরেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। শুনেছি পরকীয়া প্রেমে ব্যর্থ হয়ে মেয়েটি এ আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”