সফিকুল ইসলাম রানা।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য ড. শামসুল আলম বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিচ্ছে, শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দিচ্ছে, শিক্ষকদের ট্রেনিং এর মাধ্যমে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলছে। সর্বোপরি মানসম্মত শিক্ষা বা যুগ উপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন।
১ জানুয়ারী রবিবার সকালে চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার মমরুজকান্দি সপ্তগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় ও লুধুয়া হাইস্কুল এÐ কলেজে পাঠ্যপুস্তক উৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলের সদস্য ড. শামসুল আলম।
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে তথ্য প্রযুক্তির যুগে বিশ্ববাজারে টিকে থাকতে হলে নিজেদের আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। সরকার সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সকলকে এক সঙ্গে মিলে শেখ হাসিনার পক্ষে কাজ করার আহŸান জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং স্কুলের প্রধান শিক্ষক খোরশেদ আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এড. আক্তারুজ্জামান, সদস্য আব্দুল মতিন সরকার, উপজেলা যুবলীগ নেতা শরীফ হোসেন সরকার প্রমূখ।
বেলা ১২ টায় উপজেলার লুধুয়া হাই স্কুল এন্ড কলেজে বই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসান এর সভাপতিত্বে এবং সহকারী অধ্যাপক কামরুজ্জামান শিকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, মতলব উত্তর উপজেলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ, সহকারী পুলিশ সুপার আবুল কালাম, বিশিষ্ট চিকিৎসক জাতিসংঘে চাকুরীরত এমদাদুল হক মানিক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুল কাইয়ুম খান, অভিভাবক প্রতিনিধি আল মামুন, লুধুয়া হাই স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ জাকির হোসেন প্রমুখ।
উপস্থিত ছিলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধকালী মতলবে বিএলএফ কমান্ডার আব্দুল খালেক, চাঁদপুর জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ড. কাজী হাসেম, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও প্রয়াত মন্ত্রীপুত্র আনিছ হক, মতলব উত্তর থানার ওসি মহিউদ্দিন, মুন্সির হাট কলেজের অধ্যক্ষ এমএ মালেক, ইসলামবাদ ইউপি চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন মুকুল, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে লিয়াকত হোসেন, আবুল কালাম, চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাহিত্য ও গভেষনা বিষয়ক সম্পাদক মিয়া মোঃ আসাদুজ্জামান, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহবায়ক এড. আক্তারুজ্জামান সহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেনী পেশার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রায় ৩৫ কোটি পাঠ্যবই ছাপানোর কথা রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের পাঠ্যবই প্রায় ১০ কোটি। বাকি ২৫ কোটি মাধ্যমিক ও অন্যান্য বিষয়ের বই রয়েছে।
২০১০ সাল থেকে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে নতুন পাঠ্যবই দেওয়া শুরু করে সরকার। এরপর ধারাবাহিকভাবে প্রতি বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের উৎসব করে বিনামূল্যে বই দেওয়া হচ্ছে। যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল ঘটনা।