দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে মুরগির বাজারে অস্থিরতা চলছে। মাত্রাতিরিক্ত দামে নাভিশ্বাস উঠেছে সীমিত আয়ের মানুষের। রাজধানীতে রোববারের তুলনায় আজ সোমবার কেজিতে ১০ টাকা কমে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি।
তবে সরবরাহ সংকটে দাম বেড়েছে সোনালি মুরগির দাম। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৪০ থেকে ৩৭০ টাকা কেজি। অপরদিকে, ব্রয়লার মুরগির ডিমের দাম প্রতি ডজন ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে, চাহিদা কমায় দাম কমেছে বেগুনের। মানভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি। তিন-চারদিন আগেও বেগুনের দাম ছিল একশ টাকা।
নাজিরশাইল চাল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৫ থেকে ৭৬ টাকা, মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৭০ থেকে ৭২ টাকা। বাজারে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা কেজিতে। প্যাকেটজাত চিনির দাম পড়ছে ১১৫ টাকা কেজি। বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তেলের দাম পড়বে ১৮৫ টাকা। খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৮২ টাকা কেজিতে।
গরুর মাংস কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকায়। আর এক কেজি খাসির মাংস কিনতে হলে গুনতে হবে এক হাজার থেকে ১১০০ টাকা।
এর আগে, অযৌক্তিক দামে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করায় গত বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) কাজী ফার্মসহ চারটি প্রতিষ্ঠানকে তলব করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এরপর প্রতিষ্ঠানগুলো ১৯০ থেকে ১৯৫ টাকা ধরে মুরগি বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়।