সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবি বাংলাদেশ দূতাবাসে ঐতিহাসিক “মুজিবনগর দিবস” উদযাপন করা হয়। দূতাবাস ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দূতাবাসে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ জনতা ব্যাংক লি, বাংলাদেশ স্কুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার স্থানীয় প্রতিনিধিবৃন্দ এবং প্রবাসী বাংলাদেশীরা উপস্থিত ছিলেন।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত-এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান। ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবসের উপর নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা পর্বে প্রবাসী বাংলাদেশীগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মান্যবর রাষ্ট্রদূত আবু জাফর তার বক্তব্য শুরু করেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও নির্যাতিত বীরাঙ্গনাদের অবদানের কথা সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন যাদের চূড়ান্ত আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা চিরকাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জন করি যার পুরোধা ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি বলেন, ১৭ এপ্রিল মেহেরপুরের আম্রকাননে গঠিত সরকার জাতীয় চার নেতার সুযোগ্য পরিচালনায় বঙ্গবন্ধু নীতি এবং আদর্শের উপর অবিচল থেকে সকল বাধা বিপত্তি এবং ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তি সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অভিযাত্রা এবং বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উপস্থাপন করে তিনি জাতির পিতার সুখী, সমৃদ্ধ, শোষণ ও বৈষম্যহীন ‘সোনারবাংলা’ বাস্তবায়নে প্রবাসী বাংলাদেশীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
পরিশেষে, মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করা হয় এবং প্রার্থনা শেষে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।