মোঃ ফরিদুল আলম (রুপন)||
ইলিশ আমাদের জাতীয় সম্পদ, এ সম্পদ রক্ষায় আমরা সকলেই সচেতন হয়ে এক যোগে এর উন্নয়নের ফসল ভোগ করতে হবে। বিশেষ করে চাঁদপুরের মতলত উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী ইউনিয়নের ৬০ কিলোমিটার নদী এলাকা স্ব স্ব স্থানের প্রতিনিধি শতর্ক থেকে জাটকা নিধন বন্ধ করলেই দেশ যেমন উপকৃত হবে তেমনি এ দেশের রাজস্ব আদায় হবে। আগামী দু মাস আমরা কোনো জেলে নদীতে কোনো প্রকার জাল ব্যবহার কিংবা কোনো প্রকার মাছ শিকার করবো না। এ সময়ের মধ্যে সরকার জেলেদের ত্রান তহবিল থেকে তালিকাভুক্ত জেলেদের খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করে থাকে। এ কথা গুলো বলেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ। জাটকা নিধন প্রতিরোধর টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশের সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় তিনি বলেন, অভিযানের সময় জেলে পল্লীতে গিয়ে প্রচার করতে হবে, প্রয়োজনে গল্প নাটিকা তৈরি করে সেখানে প্রচার করতে হবে। ইলিশ দেশের সম্পদ, তাই অভিযানের সময় নদীতে ড্রেজিং বন্ধ রাখতে হবে, যারা ড্রেজিং করছে, তাদেরকে চিঠি দেওয়া হবে। অভিযানের সময় প্রশাসনকে সঠিক তত্ত্ব দিতে হবে। যাতে করে ম্যাজিস্ট্রেট গিয়ে সত্যতা পায়। জাটকা সংরক্ষণ অভিযান সুষ্ঠ ভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলেদের যে খাদ্য আসছে, তা সঠিক সময়ে, সঠিক নিয়মে তাদের মাঝে বিতরন করা হবে। প্রতিজন জেলেকে ৪০ কেজি করে চাল দিতে হবে,একটা চাল ও তাদেরকে কম দেওয়া যাবেনা, জেলেদের তালিকার পরিপূর্ণ চাল আসছে। যারা চাল কম দিবেন, এধরনের সংবাদ আসলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযান সফল করতে প্রচার প্রচারনা করতে হবে, বিভিন্ন খালের মুখ বন্ধ করে রাখতে হবে, বন্ধ মুখ যাতে খুলতে না পারে, সেজন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। প্রশাসনের পাশাপাশি সবাই মিলে একত্রে কাজ করলে অভিযানের সফলতা আসবে। সম্মলীত ভাবে অভিযান করতে হবে, অভিযানের সময় আড়ৎদারকে ও নজরধারীতে রাখতে হবে। ইলিশ কারো সম্পদ নয়, এটা জাতীয় সম্পদ, ইলিশের বড় উপকারভোগী হচ্ছে জেলারা, দেশের স্বার্থে সবাইকে জাটকা অভিযান সফল করতে হবে, ঐ সময় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, জাটকা সংরক্ষণ অভিযানের সময় বহিরাগত জেলেরা মাছ স্বীকার করতে আসলে, সাথে সাথে প্রশাসনকে অবগত করতে হবে। তাদেরকে চিহৃত করতে হবে। অভিযানের সময় স্ব স্ব ডিপার্টমেন্ট তাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে হবে। মৎস্য পল্লী, জেলে পল্লীতে বেশি বেশি প্রচার করতে হবে।
জাটকা রক্ষা করতে হবে, নতুবা আমরা ইলিশ পাবোনা, ইলিশ আমাদের একটা জাতিয় সম্পদ।
জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ গোলাম মেহেদী হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেন, নৌ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সদর উপজেলা ইউএনও সানজিদা শাহনাজ, মতলব দক্ষিন ইউএনও ফাহমিদা হক, হাইমচর উপজেলা ইউএনও ,চাই থোয়াইহলা চৌধুরী,
প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বকতিয়ার উদ্দিন, মতলব উত্তর সিনিয়র মৎস্য অফিসার মনোয়ারা বেগম, ফরিদগঞ্জ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফারহানা আক্তার রুমা, জেলা সমাজ সেবার সহকারী পরিচালক মিয়া ফিরোজ আহমেদ, কান্ট্রি ফিসিং বোর্ড মালিক সমিতির সভাপতি শাহ আলম মল্লীক, চাঁদপুর কেন্দ্রীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি তসলিম বেপারী, জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবি লীগের সভাপতি মালেক দেওয়ান, সহ সভাপতি শাহ আলম মল্লিক, সংবাদকর্মী ইব্রাহিম খানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি, মৎস্য জীবি সমিতি নের্তৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।