সিরিজের একমাত্র টেস্টে আয়ারল্যান্ডকে সাত উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানে অলআউট হয় সফরকারিরা, জবাবে ৩৬৯ রান করে স্বাগতিকরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে আইরিশরা ২৯২ রান করলে টাইগারদের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৩৮ রান। শুক্রবার (৭ এপ্রিল) টেস্টের চতুর্থ দিনে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।
এ টেস্টের প্রথম ইনিংসে সাকিব আল হাসান বোলিংয়ে এসেছিলেন ৬৬তম ওভারে, করেছিলেন কেবল ৩ ওভার। দ্বিতীয় ইনিংসে প্রথম ওভারেই চলে আসেন বোলিংয়ে। দ্বিতীয় দিন বিকেলে ৭ ওভার বোলিং করে উইকেটও নেন দুটি। কিন্তু পরদিন কেবল ৬ ওভার করেন, চার স্পেলে এসে। এর মধ্যে তিনটি স্পেলই ছিলো শুধু এক ওভারের।
বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) এর ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পেস বোলিং কোচ ডোনাল্ড। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট শেষে সংবাদ সম্মেলনে ব্যাখ্যা চাওয়া হয় সাকিবের কাছে।
জবাবে তিনি বলেন, নাহ। ওরকম তো কোনো ব্যাখ্যা নেই। বোলিং কাউকে করতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার কাছে পাঁচ-ছয় রকমের অস্ত্র থাকলে সব অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই তো সবসময়।
দ্বিতীয় দিনে সফল বোলার ছিলেন। ২৭ রানে আয়ারল্যান্ড চার উইকেট হারিয়ে ফেলেছিলো, তাতে বড় কৃতিত্ব ছিলো সাকিবের। কিন্তু তৃতীয় দিনে ঘুরে দাঁড়ায় আইরিশরা। সারাদিনে ৪ উইকেট হারিয়ে তোলে ২৫৯ রান। এমন সময় কি বোলিংয়ে আসা যেতো বলে মনে হয়েছিলো?
প্রশ্ন শুনে সাকিব বলেন,এটার মানে কি আমি ছাড়া বাংলাদেশ দলের বোলিং চলে না?
এরপর নিজেই দেন উত্তর। বলেন, আমাদের যথেষ্ট বোলার আছে ২০ উইকেট নেওয়ার মতো, আমার তাদের প্রতি বিশ্বাস আছে। সেটা ওরা করে দেখিয়েছে। বিশেষত এমন একটা জায়গাতে খেলা হয়েছে এ ধরনের পিচে আমরা খুব বেশি খেলি না। প্রথম তিনদিন খুবই ভালো উইকেট ছিলো। আমি বলবো, মিরপুরে সাধারণত তিনদিন এতো ভালো উইকেট থাকে না। এমনকি আজকেও ভালো উইকেট ছিলো।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে সাকিবসহ ৬ বোলার নিয়ে খেলতে নামে বাংলাদেশ। এর মধ্যে বহুদিন পর ঘরের মাঠে খেলানো হয় তিন পেসার। সাফল্য পেতে হলে এটিকেই আগামীর পথ বলছেন সাকিব। ছয় বোলার খেলানো প্রসঙ্গে তিনি টেনেছেন বড় দেশগুলোর উদাহরণও।
তিনি বলেন, আপনার যদি বিশ উইকেট নিতে হয়, বোলিং অপশনটা বেশি নিতে হবে। এটার বিকল্প আসলে নেই। কম বোলিং অপশন তখনই থাকে যখন আপনি রক্ষণাত্মক মানসিকতায় থাকেন। ড্র করার চিন্তা বা কোনো রকম ব্যাটিংটা ভালো করার চিন্তা থাকে। যখন আপনি জিততে চাইবেন পাঁচ বোলার, ছয় বোলারের অপশন নিয়ে খেলবেন। বড় বড় দলগুলো এরকম অবস্থাতেই আছে। বিশেষত আপনি যদি ইংল্যান্ড-ভারতে দেখেন, তাদের পাঁচ-ছয়জন মূল বোলার; ছয়জন ব্যাটার নিয়ে তারা খেলে।
ছয় বোলার তার ওপর চাপ কমায় কি না এমন প্রশ্নে সাকিব বলেন, দেখুন, মিরাজও এখনো এরকম ক্যাপেবল ব্যাটার সাত নম্বরে ব্যাট করতে পারে। ও যদি সাত নম্বরে ব্যাট করে আমাদের বোলিং অপশন আরো বেশি হবে। যেটা আমাদের দলের জন্যই ভালো। সবাই যথেষ্ট বিশ্রাম পাবে, চাপ পড়বে না। এখন তাইজুল অনেক বেশি বোলিং করছে। আলহামদুলিল্লাহ ও ভালো করছে।