দুবাইয়ে স্বর্ণ ব্যবসায়ী ও পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি আরাভ খানকে চেনেন না বলে দাবি করেছেন পুলিশের সাবেক আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ।
শনিবার বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এমন দাবি করেন সদ্য সাবেক হওয়া এই আইজিপি।
পোস্টে বেনজীর আহমেদ লিখেছেন, সম্মানিত দেশবাসী, আমি আপনাদের সবাইকে আশ্বস্ত ও সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিত করতে চাই যে ‘আরাভ ওরফে রবিউল ওরফে হৃদয়’ নামে আমি কাউকে চিনি না। আমার সঙ্গে তার এমনকি প্রাথমিক পরিচয়ও নেই।
তিনি আরও লেখেন, আমি আমার ল’ এনফোর্সমেন্ট ক্যারিয়ারের পুরোটা সময় খুনি, সন্ত্রাসী, ড্রাগ ব্যবসায়ী, চোরাকারবারি, ভেজালকারী ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, কখনোই সখ্যতা নয়। আপনাদের অফুরান ভালোবাসা, সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সম্প্রতি পুলিশ হত্যা মামলার আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম আপনের দুবাইয়ে একটি স্বর্ণের দোকান উদ্বোধন করতে যান বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান ও ইউটিউবার হিরো আলমসহ কয়েকজন তারকা। এরপর থেকে আরাভ খানকে নিয়ে দেশে আলোচনার ঝড় ওঠে।
গুঞ্জন রয়েছে, সদ্য অবসরে যাওয়া পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সহযোগিতায় আরাভ খান নাম বদলে নকল পাসপোর্ট বানিয়ে দেশ ছেড়ে ভারত হয়ে দুবাইয়ে পালিয়েছেন।
১৫ মার্চ দুবাইয়ে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আরাভ জুয়েলার্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তবে উদ্বোধনী মঞ্চে না উঠে ১০ মিনিটের মধ্যে চলে যান তিনি। একই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে মঞ্চ মাতান দেশের আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।
জানা যায়, ২০১৮ সালে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) স্কুল অব ইন্টেলিজেন্স পরিদর্শক মামুন ইমরান খানকে (৩৪) পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। সেই হত্যা মামলার ৬ নম্বর আসামি রবিউল ইসলাম আপন ওরফে আরাভ খান। মামুন হত্যার ঘটনায় তার ভাই ডিএমপির বনানী থানায় ২০১৮ সালের ১০ জুলাই একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ২০১৯ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মামলার এজাহার অনুযায়ী আরাভের আসল নাম রবিউল ইসলাম আপন ওরফে সোহাগ ওরফে হৃদয়। মামলায় আপনের ঠিকানা গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় উল্লেখ করা হয়েছে।