রাজধানীর আরামবাগের নটরডেম কলেজের সামনের জড়ো হয়েছে হাজার হাজার জামায়াত-শিবির নেতা-কর্মী। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকাল ১০টার দিকে তারা শাপলা চত্বরে জড়ো হওয়ার চেষ্টা করেন। তবে পুলিশ তাদের নটরডেম কলেজ ফুটওভার ব্রিজের সামনে আটকে দেয়।
জামায়াতের অবস্থান নিয়ে মতিঝিলে কথা বলেছেন পুলিশের সিটিটিসি প্রধান আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, জামায়াতকে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি, তারপরও সমাবেশের চেষ্টা করলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় মোতায়েন রয়েছে পুলিশের পর্যাপ্ত ফোর্স।
জামায়াতের এক কর্মী বলেন, আল্লাহর আইনের কথা বলব। পৃথিবীর কাউকে পরোয়ানা করে এখানে আসি নাই। মৃত্যু একদিন হবেই, আমাদের সকলকেই মৃত্যুবরণ করতে হবে। মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেই এখানে এসেছি। সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অবৈধ সরকার পতনের আন্দোলনে শরিক হতে হবে। মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য অবৈধ এই সরকারকে যেকোনো মূল্যে হটাতে হবে। এই দেশে সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনাই আজকের মহাসমাবেশের একমাত্র লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
এর আগে রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বর এলাকায় গতকাল রাত থেকেই কঠোর অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ সকাল ৮টার পর জামায়াত-শিবির সমর্থিত নেতাকর্মীদের ভিড় জমার পর ধাওয়া ও লাঠিচার্জ করে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
সকাল পৌনে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে এসএম মিজানুর রহমান নামে জামায়াতে ইসলামীর এক সমর্থককে আটক করে পুলিশ। তাকে প্রিজনভ্যানে তুলে নিয়ে যেতে দেখা যায়।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে অনুমতি না পেলেও রাজধানীর শাপলা চত্বর এলাকায় সমাবেশ করার ঘোষণায় অনড় সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।
মতিঝিল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, টিকাটুলি মোড়, দৈনিক বাংলা মোড়, শাপলা চত্বর এলাকা, নটেরডেম কলেজের গলি, বাংলাদেশ ব্যাংকের পেছনে গলিসহ পুরো এলাকায় মোতায়েন রয়েছে আনসার ব্যাটালিয়ন, র্যাব, পুলিশ। আনসার ও পুলিশের অন্তত ৫০টি টহল গাড়ি সতর্কাবস্থায় চলাচল করতে দেখা যায়।
জানতে চাইলে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে মতিঝিল বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) হায়াতুল ইসলাম খান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি মতিঝিলে অনুমতি ছাড়াই জামায়াতে ইসলামী শোডাউন কিংবা বিক্ষোভ করতে পারে। ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়নি বিষয়টি জানানোর পরও জামায়াতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যেকোনো মূল্যে তারা সমাবেশ করবে। মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা। এখানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখা জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। পুরো এলাকায় তল্লাশি চৌকি, টহল জোরদার করা হয়েছে।