আজ (২৯ মার্চ) ১৮ রমজান দিবাগত রাতে ইশার পর ১৯তম দিনের তারাবিহ নামাজে আমাদের দেশের মসজিদগুলোতে কোরআনের ২২ নং পারা তিলাওয়াত করা হবে। এ পারায় রয়েছে সুরা আহজাবের শেষাংশ, সুরা সাবা, সুরা ফাতির ও সুরা ইয়াসিনের কিছু অংশ।
পবিত্র কোরআনের এ অংশে আমাদের দৈনন্দিন জীবন সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ যে শিক্ষা ও দিক-নির্দেশনা রয়েছে:
১. মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য আল্লাহকে ভয় করে সঠিক কথা বলা, সত্য ও ন্যায় কথা বলা, সরল কথা বলা। ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে কথা বলে মানুষকে ধোঁকা দেওয়া, অন্যায়ের পক্ষে দাঁড়ানো মুমিনের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। সত্য ও ন্যায় কথা বললে আল্লাহ রহমত বর্ষিত হয়, আল্লাহ আমাদের কাজ ত্রুটিমুক্ত করেন এবং পাপ ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বল। তাহলে তিনি তোমাদের কাজকে ক্রটিমুক্ত করবেন এবং তোমাদের পাপ ক্ষমা করবেন। যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য করে তারা অবশ্যই মহাসাফল্য অর্জন করবে। (সুরা আহজাব: ৭০, ৭১)
২. বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করুন। আল্লাহর জিকিরে মুমিনের অন্তর প্রশান্ত হয়। ইমান জাগরুক হয়। শয়তান দূরে সরে যায়। শয়তানের ধোঁকা থেকে বেঁচে থাকা যায়। আল্লাহ তাআলা বলেন, হে মু’মিনগণ! তোমরা আল্লাহকে অধিক স্মরণ কর এবং সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা কর। (সুরা আহজাব: ৪১, ৪২)
৩. আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্য দরুদ পড়া, দোয়া করা তার উম্মত ও মুমিন হিসেবে আমাদের কর্তব্য। দরুদ পাঠ অত্যন্ত ফজিলতপূর্ণ আমল। নবিজির জন্য দরুদ পড়ার নির্দেশ দিয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, নিশ্চয় আল্লাহ (ঊর্ধ্ব জগতে ফেরেশতাদের মধ্যে) নবির প্রশংসা করেন এবং তার ফেরেশতাগণ নবির জন্য দোয়া করে। হে মুমিনগণ, তোমরাও নবির ওপর দরুদ পাঠ কর এবং তাকে যথাযথভাবে সালাম জানাও। (সুরা আহজাব: ৫৬
সূত্র : জাগো নিউজ২৪