আশা জাগিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারল না বাংলাদেশের মেয়েরা। বৃষ্টির কারণে ৭ ওভার কমে যাওয়া ম্যাচটিতে ৫ উইকেটে হেরেছে টাইগ্রেসরা।
শক্তিমত্তার বিচারে দুই দলের ফারাক বিস্তর। নারী বিশ্বকাপের ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলছে বাংলাদেশ। তারপরও অস্ট্রেলিয়ার মেয়েদের মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছিল সালমা খাতুনরা।
নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৩ ওভারে ৬ উইকেটে ১৩৫ রান করে বাংলাদেশ। মুরশিদা খাতুন (১২) ও শারমিন আখতারের (২৪) ওপেনিং জুটিতে ৩৩ রান করে টাইগ্রেসরা।
ধীরেসুস্থে ব্যাট চালালেও বড় ইনিংস খেলতে পারেননি ফারজানা হক (৮) ও অধিনায়ক-উইকেটরক্ষক নিগার সুলতানা জ্যোতি (৭)। ৪৫ বলে ১৫ রান করে ফেরেন রুমানা আহমেদ।
বাংলাদেশকে লড়াকু পুঁজি এনে দেন লতা মণ্ডল। ৬৩ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। সালমা ১৫ ও নাহিদা আক্তার ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন।
১৩৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ভালো শুরুর আভাস দেয় অস্ট্রেলিয়া। তবে দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি (১৫) ও র্যাচেল হেইন্সকে (৭) ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ বাংলাদেশের হাতে এনে দেন সালমা।
তার আগে অধিনায়ক ম্যাগ ল্যানিংকে (০) বোল্ড করেন এই ডানহাতি স্পিনার। ২৬ রানে তিন উইকেট হারানোর পর ৪৬ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তাহিলা ম্যাকগ্রাথকে (৩) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন নাহিদা।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে দলের হাল ধরেন বেথ মুনি। দলীয় ৭০ রানে অস্ট্রেলিয়ার পঞ্চম উইকেট অ্যাশলে গার্ডনারকে (১৫) বোল্ড করেন রুমানা। তবে অ্যানাবেল সাদারল্যান্ডকে (২৬) সঙ্গে নিয়ে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন মুনি। দুজনে গড়েন ৬৬ রানের জুটি। মুনি ৭৫ বলে ৬৬ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যাচ সেরাও হয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার।
এ নিয়ে তালিকায় ৭ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখল অস্ট্রেলিয়া। ৬ ম্যাচে ১ জয়ে ৮ দলের চলতি বিশ্বকাপে ছয়ে আছে বাংলাদেশ। এক ম্যাচ হাতে থাকলেও ইতোমধ্যে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়টা নিয়ে নিল টাইগ্রেসরা।