আশুলিয়ায় ফেসবুকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে অপহরণ করতো দুই বোন।
কাজী মো:আশিকুর রহমান,আশুলিয়া প্রতিনিধি :
ফেসবুকে পরিচয় ও প্রেমের পর এক তরুণকে আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে দুই তরুণীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ ফোনের মাধ্যমে ওই তরুণকে উদ্ধার ও দুই তরুণীকে গ্রেফতার করা হয়। তারা সম্পর্কে সহোদর বোন।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্যামলেন্দু ঘোষ এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে একজন কলার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানান, তার বন্ধু, বান্ধবীর সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা জেলার আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় গিয়েছিল। এরপর তার বন্ধুর ফোন থেকে তাকে ফোন করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে। টাকা পাঠানোর জন্য একটি বিকাশ নম্বর দেওয়া হয়েছে। টাকা না পাঠালে তার বন্ধুকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
এসআই জানান, অপহরণকারীরা যখন তাকে ফোন করেছিল তখন তার বন্ধুকে মারধরের শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন কলার। তবে আটক হওয়ার আগে তার বন্ধু হোয়াটসঅ্যাপে তার অবস্থানস্থল গুগল ম্যাপে পাঠিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী কলার জানান, তার বন্ধু আশুলিয়া থানাধীন বাইপাইল ন্যাশনাল ব্যাংকের পেছনে একটি ভবনে আটক আছেন। পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ৯৯৯-এর কলটি কনস্টেবল মো. রেজোয়ান মিয়া রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল রেজোয়ান তাৎক্ষণিকভাবে আশুলিয়া থানার ডিউটি অফিসারকে বিষয়টি জানান এবং কনফারেন্সের মাধ্যমে কথা বলিয়ে দেন। পরে ৯৯৯ এর এসআই শাহরিয়ার রুবেল কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন। সংবাদ পেয়ে আশুলিয়া থানার একটি পুলিশ দল ঘটনাস্থলে যায়। পরে আশুলিয়া থানার এসআই শ্যামলেন্দু ঘোষ জানান, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে আটকে রাখা বাড়িটি চিহ্নিত করেন। সেটি ছিল গাজীরচটে তাহের পাটোয়ারীর বাড়ি “কুসুম ভিলা”। এরপর বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগী সোলায়মান হককে (২৪) উদ্ধার করা হয়। পুলিশ জানায়, আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবির অভিযোগে লিপি বেগম (২৭) এবং তার বোন সীমা বেগমকে (২৫) গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের বাড়ি লালমনিরহাট হাতিবান্ধা এলাকার বড়খাতায়। তাদের বাবার নাম ইউসুফ আলী। বর্তমান গাজীরচট আশুলিয়ার ওই বাসায় থাকেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের পুরুষ দুই সহযোগী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করা হয়েছে।