নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় নাশকতা মামলার আসামি হয়েও বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অনুপস্থিতিতে রিজভীর এ আন্দোলন নিয়ে নারায়ণগঞ্জে ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠেছে।
ফতুল্লার যে স্থানে জেলা বিএনপির সভাপতি সম্পাদকরা সভা-সমাবেশ ও সরকারবিরোধী আন্দোলন করতেন সেখানে কয়েক দিন যাবত গুটিকয়েক নেতাকর্মী নিয়ে আন্দোলনে মেতে উঠেছেন তিনি।
অভিযোগ উঠেছে নিজেদের সুবিধার্থে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি মো. গিয়াস উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন আত্মগোপন করেছেন। তাদের সঙ্গে আত্মগোপন করেছেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মামুন মাহমুদ, ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহিদুল ইসলাম টিটু, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়াসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
নেতাকর্মীদের অভিযোগ, আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকার কোনো দিক-নির্দেশনা জেলার শীর্ষ নেতারা দিচ্ছেন না। কর্মীদেরও ডাকছেন না। এছাড়া শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাদের ফোনেও পাচ্ছেন না কেউ। হরতালেও ফতুল্লায় তেমন আন্দোলন সংগ্রাম হয়নি, অবরোধেও নেতাদের কোনো সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি।
নারায়ণগঞ্জের গুরুত্বপূর্ণ একটি থানা ফতুল্লা। যেখানে জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি বেসরকারি অফিস কলকারখানা বিসিক শিল্পাঞ্চল; সেখানে বিএনপির কোনো আন্দোলন সংগ্রাম নেই। এটা তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে রহস্যজনক মনে হয়।
জানা যায়, ২৯ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডে ফতুল্লার রগুনাথপুর এলাকায় অ্যাম্বুলেন্সযোগে আসেন রিজভী। এরপর রিজভীর নেতৃত্বে সড়ক অবরোধ করে টায়ারে অগ্নিসংযোগ করা হয় এবং কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়। এ ঘটনায় ফতুল্লা থানা পুলিশ বিস্ফোরক আইনে রিজভীসহ ২৭ জনের নামে মামলা দায়ের করেন।
মঙ্গলবার ভোরেও একই স্থানে দেশব্যাপী টানা তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিন রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে সড়কে টায়ারে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ মিছিল হয়।
এ সময় রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, নারায়ণগঞ্জ জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মন্টু মেম্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন সালু, নারয়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের রহমান জিকু প্রমুখ।
হরতালের দিন রিজভীসহ তার সঙ্গে উপস্থিত থাকা সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে ফতুল্লা থানায় বিস্ফোরক আইনে মামলা হয়েছে।