ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদস্য পদ লাভের জন্য কিয়েভের প্রার্থীতার প্রতি ব্রাসেলস’র সমর্থনের কারণে ইউরোপ শুক্রবার ইউক্রেনের সাথে সংহতির একটি জোরালো বার্তা পাঠিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন বলেছেন, তিনি এর ‘বিরোধী নন’।
ইউরোপিয়ান কমিশনের সমর্থনে সদস্য পদের লড়াইয়ে ইউক্রেন আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে সদস্যপদ প্রত্যাশী দেশগুলোর তালিকায় যোগ দিতে পারে। এ সময় সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতারা ব্রাসেলসে তাদের শীর্ষ সম্মেলনে মিলিত হবেন।
সদস্য প্রার্থীতার ব্যাপারে ইইউ ২৭ সদস্যের ঐক্যমত্য থাকতে হবে, তবে ব্লকের বৃহত্তম সদস্য ফ্রান্স, জার্মানি ও ইতালির নেতারা বৃহস্পতিবার যুদ্ধ বিধ্বস্ত কিয়েভের শহরতলি সফরকালে ইউক্রেনের সদস্য পদের প্রতি মৌখিক জোরালো সমর্থন ব্যক্ত করেছেন।
শুক্রবার ইউরোপিয়ান কমিশন ইউক্রেনের প্রার্থীতার প্রতি আনুষ্ঠানিক সমর্থন জানিয়েছে এবং ইইউ প্রধান উরসুলা ভন ডার লেইন ইউক্রেনের জাতীয় পতাকার রংয়ে জ্যাকেট পড়ে তার অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই জানি যে ইউক্রেনীয়রা ইউরোপীয় দৃষ্টিভঙ্গির জন্য মরতে প্রস্তুত। আমরা চাই ইউরোপীয় স্বপ্নের জন্য তারা আমাদের সঙ্গে বাঁচুক।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এর পরপরই এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, ‘এটি ইইউ’র সদস্য হওয়ার প্রথম পদক্ষেপ যা অবশ্যই আমাদের বিজয়কে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ইইউ নেতারা ২৩ থেকে ২৪ জুনের শীর্ষ সম্মেলনে ইউক্রেনকে একটি ‘ইতিবাচক ফলাফল’ দেবে।
পুতিন বলেছেন, ইইউতে ইউক্রেনের যোগদানের বিরুদ্ধে রাশিয়ার ‘করার কিছু নেই’। একটি ‘অর্থনৈতিক ইউনিয়নে যোগদান করা বা না করা তাদের সার্বভৌম সিদ্ধান্ত’- বিপরীতে কিয়েভের ন্যাটোতে যোগদানের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা ঝুঁকি দেখতে পান।
তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদ ইউক্রেনকে পশ্চিমাদের ‘আধা উপনিবেশে’ পরিণত করবে।বাসস