রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে সত্য বলতে ভয় পান তার উপদেষ্টারা। এমনটাই মনে করছে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস বলছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ কতটা খারাপ যাচ্ছে তা পুতিনকে বলতে ভয় পাচ্ছেন উপদেষ্টারা। তারা পুতিনকে যুদ্ধ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করছেন।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, রাশিয়ার অর্থনীতিতে নিষেধাজ্ঞার সম্পূর্ণ প্রভাব সম্পর্কে পুতিনকেও বলা হচ্ছে না।
ব্রিটিশ গোয়েন্দারা দাবি করছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ান সৈন্যরা হতাশায় ভুগছেন। সরঞ্জামের অভাবসহ আদেশ পালনেও অস্বীকার করছেন সৈন্যরা। এসব ব্যাপারেও পুতিনকে সঠিক তথ্য দেয়া হচ্ছে না।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কেট বেডিংফিল্ড বলছেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে- সামরিক বাহিনী দ্বারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন পুতিন। এর ফলে পুতিন এবং তার সামরিক উপদেষ্টাদের মধ্যে এক ধরণের উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, পুতিনের যুদ্ধ একটি কৌশলগত ভুল যা রাশিয়াকে দীর্ঘমেয়াদে দুর্বল এবং বিশ্ব মঞ্চে ক্রমবর্ধমানভাবে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে।
যুক্তরাজ্যের সাইবার-গোয়েন্দা সংস্থা জিসিএইচকিউ-এর প্রধান জেরেমি ফ্লেমিং বলছেন, রাশিয়া ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে ব্যাপক ভুল ধারণা পোষণ করছে।
ক্যানবেরার অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে এক বক্তৃতায় ফ্লেমিং আরও বলেন, রাশিয়ান সৈন্যরা অস্ত্র এবং মনোবলের অভাবে আদেশ পালন করতে অস্বীকার করছে। তাদের নিজেদের সরঞ্জাম নাশকতা পরিস্থিতি ছাড়াও দুর্ঘটনাক্রমে তাদের নিজস্ব বিমানকেও গুলি করছে।
তিনি আরও বলেন, পুতিনের উপদেষ্টারা তাকে সত্য বলতে ভয় পান, তবে ইউক্রেনে কী ঘটছে তা অবশ্যই তাদের নেতার কাছে পরিষ্কার হতে হবে।
এদিকে রুশ হামলায় কার্যত ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের মারিউপোল শহর। কিন্তু এ পরিস্থিতিতেও সেখানে আটকা পড়ে আছেন কয়েক লাখ বেসামরিক মানুষ।
এ প্রেক্ষাপটে তাদের সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে মারিউপোলে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে রাশিয়া। বেসামরিক লোকজনের জন্য একটি নিরাপদ করিডোর তৈরি করা হয়েছে। তবে সে করিডোর রাশিয়ার দখলে থাকা অঞ্চলে গিয়ে শেষ হচ্ছে।