চীনের পররাষ্টমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, ‘ইউক্রেনের যুদ্ধ থেকে আমরা একটা বড় শিক্ষা নিতে পারি, আর সেটি হলো- প্রতিটি দেশের বৈধ নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন মিমাংসার ক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের সবাইকে পরস্পরের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাব থাকতে হবে; এবং একটি ভারসাম্যপূর্ণ, কার্যকর ও টেকসই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে সংলাপ ও কূটনৈতিক আলোচনার কোনো বিকল্প নেই’।
বুধবার রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন তিনি। বুধবার চীন সফরে গিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। চীনের আনহুই প্রদেশে দেশটির পররাষ্টমন্ত্রী ওয়াং ইর সঙ্গে দুই দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করেন ল্যাভরভ। ইউক্রেন রুশ সামরিক অভিযান শুরুর পর এই প্রথম চীন সফর করছেন তিনি।
বৈঠক শেষে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই আরও মন্তব্য করেন যে, ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যবস্থায় পরিবর্তন হচ্ছে এবং তার মূল্য চীন ও রাশিয়াকে দিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে চীন আন্তরিক ও রাশিয়াকে সহযোগিতা করতে আমরা প্রস্তুত’।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ সামরিক অভিযান শুরু হওয়ার পর পশ্চিমা বিশ্বসহ বিভিন্ন দেশ একে ‘আগ্রাসন’ বললেও চীন এই শব্দ ব্যবহারে আপত্তি জানিয়েছে। পাশাপাশি, দুই দেশের মধ্যকার উত্তেজনা কূটনৈতিক পন্থায় সমাধানে যুদ্ধের শুরু থেকেই সবাইকে আহ্বান জানিয়ে আসছে দেশটি।
দুই সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র অভিযোগ করেছিল, রাশিয়া চীনের কাছে গোপনে অর্থ ও সামরিক সহায়তা চেয়েছে এবং চীন তাতে সম্মত হয়েছে। তবে চীন সেই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি।