ফরিদুল আলম রুপনঃ
জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেছেন, সরকারের যত উন্নয়ন হয় তা সব ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমেই হচ্ছে, তৃনমূল জনগনের জীবন মান উন্নয়নের জন্য ইউনিয়ন পরিষদ কাজ করছে। উন্নয়ন সহযোগীতার সব কাজগুলো সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হবে।
চাঁদপুরে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পরে বাস্তবায়নে অগ্রগতি পর্যালোচনা বিষয়ক জেলা সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম বৃদ্ধি করতে হবে, পরিষদের মাধ্যমে যে সকল প্রকল্প গ্রহন করা হবে, তা সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। যে প্রকল্পগুলো নেওয়া হবে, সে প্রকল্প যাতে টেকসই ও মজবুত হয়, সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে, ইউপি চেয়ারম্যানগন সকল কাজগুলো মনিটরিং করবে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের যখন ব্রিজ কালভাট হয়, তখন তা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হাতে নিয়ে করতে হবে, বছরের প্রতিটি সময় যাতে খালে বিলের পানি দ্রুত নিস্কাশন করতে পারে বিষয়টি দেখতে হবে, অদূর ভবিষ্যৎতের কথা চিন্তা করে আমাদেরকে তা বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলনে, প্রধানমন্ত্রী টেকসই উন্নয়ন বাংলাদেশ গড়ার জন্য যে চিন্তা নিয়ে এগুচ্ছে, কাজ করছে, সে লক্ষ্য মাত্রা নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে। সরকারের যাতে কোন প্রকল্পে বদনাম না হয়, সেটি মাথায় রেখে এগুতে হবে। মাদক, সন্ত্রাসসহ সকল অনিয়মের বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার থাকতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ এখন উন্নয়নের রুপ রেখায় পরিনত হচ্ছে। সরকারের দেওয়া গ্রামের সুবিধা সুষম ভাবে বন্টন করতে হবে, সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প, টিউিবওয়েল, রাস্তা, ব্রিজ কালভাট, ভিজিডি,ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতাসহ সকল কাজগুলো জনগনের কল্যাণে আসতে হবে।
তিনি বলনে, জনগনের জীবন মান উন্নয়নের জন্য জনগনের চাহিদা অনুযায়ী ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনা করতে হবে, জনগন কিভাবে উপকার পায়, সে ভাবে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে, সঠিক চিন্তা চেতনা নিয়ে কাজ করলে আমাদের দেশ দ্রুত এগিয়ে যাবে। বাংলাদশে থেকে এখন দুর্নীতি বন্ধ হয়েছে, এক সময় বাংলাদেশ দুর্নীতিতে চ্যাম্পয়িন হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী সে দুর্নীতি লাগাম টেনেছে। এখন বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, বঙ্গবন্ধু কন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি নিমূল করছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স ঘোষণা করেছে। প্রতিটি পরিষদের অসমাপ্ত কাজ শেষ করতে হব।
তিনি বলেন, কোন মানুষ যাতে গৃহহীন না থাকে সরকার সেদিকে লক্ষ্য রেখে কাজ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছে। সে লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে, যে সব উপজেলার ইউনিয়ন গুলোর সমস্যা আছে, সেগুলো চিহ্নিত করে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। যেখানে অনিয়ন থাকবে, সেখানে আমি নেই, অনিয়মের বিরুদ্ধে আমি জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছি। আমি কারো কোন প্রকার অনিয়মের দায়িত্ব নিব না, আমি যেখান থেকে দায়িত্ব নিয়েছি, সেখান থেকেই শুরু করবো। সবাই মিলে মিশে কাজ করলে একটি আধুনিক চাঁদপুর করা সম্ভাব হবে, উন্নয়ন জেলা হবে চাঁদপুর।
তিনি বলেন, আপনারা জনপ্রতিনিধিরা জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন, তাই জনগনের উত্তম সেবা করা আপনাদের দায়িত্ব, জনগনের সেবা করার সুযোগ নিয়েই জনপ্রতিনধি হয়েছেন। সে লক্ষ্য নিয়েই সব সময় কাজ করতে হবে। চেয়ারম্যানদের অনকে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে, ন্যায় ও আদর্শের মধ্যে থেকে সততার সাথে কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার ১৪ জুন জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক, অতরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমতিয়াজ হোসেনের সভাপতিত্বে ডিস্ট্রিক ফ্যাসলিটিটের রিযাজ উদ্দিন সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের সহকারী কমিশনার আবিদা সিফাত, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটোয়ারী, রাজরাজশ্বের ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হযরত আলী বেপারী, আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসনে পাটোয়ারী, মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম পাটোয়ারী, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিক উল্লাহ পাটোয়ারী, ইব্রাহিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ¦ কাশিম খান, হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুস সাত্তার ঢারী, তরপুচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল গাজী, বাকিলা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় জেলার প্রতিটি উপজেলা চেয়ারম্যান, চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি, প্যানেল চেয়ারম্যান ও সচিব উপস্থিত ছিলেন।