বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক-রুমি নোমান
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপাচার্যের কার্যালয়ে অবস্থিত একান্ত সচিব (পিএস) আইয়ুব আলীকে হেনস্তাসহ অফিস কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা আড়ইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা কয়েকজন কর্মচারী কর্তৃক এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, দৈনিক মজুরির ভিত্তিতে কাজ করা কয়েকজন বেলা আড়াইটার দিকে পিএস এর অফিসে যান। তারা গিয়ে তেমন কথাবার্তা ছাড়াই অফিসের ডেস্কসহ বিভিন্ন কিছু ভাঙচুর করেন। এছাড়া ফাইলপত্র ছুড়ে ফেলেন। এসময় আইয়ুব আলীকে মারধরের চেষ্টা করলে তাদের মাঝে একজন তাকে জাড়িয়ে রাখেন। পরে আইয়ুব আলী রেজিস্ট্রারের দপ্তরে গিয়ে আশ্রয় নেন। অস্থায়ী চাকুরিজীবী পরিষদের সভাপতি টিটো মিজান ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জোয়ার্দারসহ ১৫-২০ জন এসময় সেখানে ছিলেন বলে জানান ভুক্তভোগী।
অফিসে ভাঙচুর করে পরে প্রশাসন ভবনের নিচে এসে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন কর্মচারীরা। তাদের ফাইল চালু ও নিয়োগের বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ে কোনো নিয়োগ বোর্ড হতে দেওয়া হবে না বলে হুশিয়ারী দেন তারা।
সরেজমিন দেখা যায়, উপাচার্যের ব্যক্তিগত সহকারীর অফিস কক্ষের টেবিলের গ্লাস ভাঙা এবং গুরুত্বপূর্ণ ফাইল চেয়ার এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন অস্থায়ী কর্মচারীরা।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষণিক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান, কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল হক ও সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিদ হাসান মুকুট। তারা এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।
তারা বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস ভাঙচুর করে চলে যাবে। এটা কোনো ছোটো বিষয় নয়। আমরা উপাচার্যের কাছে জোরালো ভাবে বলবো এঘটনার যেনো সুষ্ঠু বিচার করা হয়।
ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী জানান, আমি অফিসে কাজ করছিলাম। হঠাৎ করেই তারা এসে ফাইল প্রসেসিং নিয়ে জিজ্ঞাসা করে। আমি কথা বলার আগেই ভাঙচুর মারধর শুরু করে।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, এটা কোনো সাধারণ ইস্যু না। আমি সবার সাথে কথা বলেছি। যারা এর সাথে জড়িত কোনোভাবে ছাড় দেওয়া হবে না।