ফুটবলে শক্তি আর বিশ্বমঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতার দিক থেকে ইরানের চেয়ে বেশ এগিয়ে ইংল্যান্ড। মাঠের খেলাতেও তাই প্রমাণ হলো। ইংলিশদের বিপক্ষে স্রেফ উড়ে গেল ইরান।
সোমবার কাতারের আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপের চলতি আসরের দ্বিতীয় ম্যাচে ইরানকে ৬-২ গোলে হারায় ইংল্যান্ড।
বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন গোলের ব্যবধান আরও কম হতো- যদি ইরানের গোলরক্ষক আলিরেজা আহত হয়ে মাঠ না ছাড়তেন।
খেলার ৮ম মিনিটে কিয়েরান ত্রিপিয়ার ফ্রি কিক নেন। বল চলে যায় হ্যারি কেইনের কাছে। তিনি ৬ গজের বক্সের সামনে থেকে দুর্দান্ত একটি ক্রস করেন। সেটিকে ঠেকাতে পাঞ্চ করেন গোলরক্ষক আলিরেজা। একই সময় সেটিকে ক্লিয়ার করার জন্য হেড দিতে যান ডিফেন্ডার মাজেদ হুসেইনি।
কিন্তু গোলরক্ষক আলিরেজা বল পাঞ্চ করে বিপদমুক্ত করলেও নিজে বিপদে পড়ে যান। মাজেদ হুসেইনির সঙ্গে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
আলিরেজার পরিবর্তে মাঠে নামেন হোসেইন হোসেইনি। আন্তর্জাতিকে অনভিজ্ঞ হোসেইন পারেননি দলের ত্রাতার ভূমিকা পালন করতে।
খেলার ৩৫ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন বেলিংহ্যাম। দুরন্ত হেডে গোল করেন তিনি।
৪৩তম মিনিটে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন বুকাও সাকা। এরপর প্রথমার্ধের যোগ করা ১৪ মিনিট সময়ের প্রথম মিনিটেই ইংল্যান্ডের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন রহিম স্টার্লিং।
প্রথমার্ধে ৩-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংলিশরা।
বিরতি থেকে ফিরে ৬২ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় আর দলের হয়ে চতুর্থ গোলটি করেন বুকাও সাকা।
সাকার করা সেই গোলের মাত্র ৩ মিনিট ব্যবধানে গোল করে ব্যবধান কিছুটা কমান ইরানের মেহদি তারেমি।
এরপর ৭১ মিনিটে গোল করেন মার্কাস রাশফোর্ড। ৮৯ মিনিটে ইরানের জালে শেষ পেরেকটি মারেন জ্যাক গ্রেলিশ।
তবে অতিরিক্ত সময়ে ইংল্যান্ড ডি বক্সের মধ্যে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ইরান। পেনাল্টি থেকে গোল করে পরাজয়ের ব্যবধান (৬-২) কিছুটা কমান তারেমি।