ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫, ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত, ৫ আগস্ট জাতির সামনে উপস্থাপন আ.লীগ অপকর্ম করলে ছাড় পাবে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন বাংলাদেশের ওপর নিবিড়ভাবে নজর রাখছে ভারত: জয়শঙ্কর গুলিস্তান সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটে আগুন জামায়াতের কর্মীরা আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় করে না-এডভোকেট মসিউল আলম রাশিয়ার হুমকি, ২ পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন করলেন ট্রাম্প আগে করেছেন ৮ বিয়ে, নবম বিয়ের চেষ্টার সময় শিক্ষিকা গ্রেপ্তার গত ৫ই আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ শেখহাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতে আশ্রয় নেওয়ার সম্পর্কে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়

এক সাপুড়েকে সাপে কাটায় ‘কিং কোবরা’ কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে

সাংবাদিক

সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ যায় এক সাপুড়ের। সাপুড়ের প্রাণনাশী সেই সাপ চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন আরেক সাপুড়ে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরও মৃত সাপুড়ে জীবিত হওয়ার আশায় প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মরদেহে চলে ঝাঁড়ফুক।

সবশেষ বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ১১টায় সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়া ওই সাপুড়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এমন উদ্ভটকাণ্ডে আলোচনায় আসা ওই সাপুড়ের নাম মোজাহার আলী এবং সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়া সাপুড়ে হলেন বয়েজ উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন কালিগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে গিয়ে একটি বিষধর কিং কোবরা সাপ ধরেন। যা ইমরান আলীর রান্না ঘরের একটি গর্তে ৫-১৬ টি বাচ্চা দিয়েছিল। সাপের বাচ্চাগুলো ধরার পর মা সাপটি ধরার সময় বয়েজ উদ্দিনকে দংশন করেন বড় সাপটি। প্রথম দিকে সাপের বিষে কিছু না হলেও বাড়িতে এসে নিস্তেজ হতে থাকেন তিনি। তকে দ্রুত ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে কয়েকজন ওঝা ও সাপুড়ে। তাদেরই একজন মোজাহার আলী। তিনি বড় সাপসহ বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। পরে গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খান। এ সময় গাবতলা বাজারে তার সাপ খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রচুর লোক ভিড় জমায়।

মোজাহার জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তিনি খবর পান। সাপের পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন বাঁচবেন না। হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত আনার পর বযেজ উদ্দিনের স্বজনরা তাকে ফোনে ডেকে আনেন। তিনি দেখেন জানান, মারা গেছেন। পরে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপের বাচ্চাসহ বড় সাপটি তারা আমাকে দেন। এগুলো নিয়ে এসে এই বাজারে বড় সাপটি মেরে রক্ত মাংস খাই। আর ছোট বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিবো। তিনি আরোও জানান, কাঁচা সাপ খাওয়া তার পুরনো অভ্যাস।

এদিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করার পরও বয়েজ উদ্দিন বেঁচে ফেরার আশায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তার মরদেহে ঝাঁড়ফুক করা হয়। সবশেষ বুধবার রাত ১১টায় স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করেন স্বজনরা।

ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম.আবু সায়েম জানান, সাপে কাটলে ঝাঁড়ফুকে কোন কাজ হওয়ার কথা না। সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আনতে হবে। আমাদের কাছে এন্টিভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরোও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রপ বেশি।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
৫২৯ Time View

এক সাপুড়েকে সাপে কাটায় ‘কিং কোবরা’ কাঁচা চিবিয়ে খেলেন আরেক সাপুড়ে

আপডেটের সময় : ০৫:০৯:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ যায় এক সাপুড়ের। সাপুড়ের প্রাণনাশী সেই সাপ চিবিয়ে খেয়ে ফেলেন আরেক সাপুড়ে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করার পরও মৃত সাপুড়ে জীবিত হওয়ার আশায় প্রায় ৮ ঘণ্টা ধরে মরদেহে চলে ঝাঁড়ফুক।

সবশেষ বুধবার (৩০ জুলাই) রাত ১১টায় সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়া ওই সাপুড়ের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সকাল ১১টার দিকে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের কালিগঞ্জ ইউনিয়নের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এমন উদ্ভটকাণ্ডে আলোচনায় আসা ওই সাপুড়ের নাম মোজাহার আলী এবং সাপের কামড়ে মৃত্যু হওয়া সাপুড়ে হলেন বয়েজ উদ্দিন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকালে সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন কালিগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে গিয়ে একটি বিষধর কিং কোবরা সাপ ধরেন। যা ইমরান আলীর রান্না ঘরের একটি গর্তে ৫-১৬ টি বাচ্চা দিয়েছিল। সাপের বাচ্চাগুলো ধরার পর মা সাপটি ধরার সময় বয়েজ উদ্দিনকে দংশন করেন বড় সাপটি। প্রথম দিকে সাপের বিষে কিছু না হলেও বাড়িতে এসে নিস্তেজ হতে থাকেন তিনি। তকে দ্রুত ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে কয়েকজন ওঝা ও সাপুড়ে। তাদেরই একজন মোজাহার আলী। তিনি বড় সাপসহ বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। পরে গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাঁচা চিবিয়ে খান। এ সময় গাবতলা বাজারে তার সাপ খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রচুর লোক ভিড় জমায়।

মোজাহার জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তিনি খবর পান। সাপের পরিচয় পাওয়ার পর তিনি বলেছিলেন সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন বাঁচবেন না। হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত আনার পর বযেজ উদ্দিনের স্বজনরা তাকে ফোনে ডেকে আনেন। তিনি দেখেন জানান, মারা গেছেন। পরে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপের বাচ্চাসহ বড় সাপটি তারা আমাকে দেন। এগুলো নিয়ে এসে এই বাজারে বড় সাপটি মেরে রক্ত মাংস খাই। আর ছোট বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিবো। তিনি আরোও জানান, কাঁচা সাপ খাওয়া তার পুরনো অভ্যাস।

এদিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষণা করার পরও বয়েজ উদ্দিন বেঁচে ফেরার আশায় বুধবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তার মরদেহে ঝাঁড়ফুক করা হয়। সবশেষ বুধবার রাত ১১টায় স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করেন স্বজনরা।

ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এস.এম.আবু সায়েম জানান, সাপে কাটলে ঝাঁড়ফুকে কোন কাজ হওয়ার কথা না। সাপে কাটার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে আনতে হবে। আমাদের কাছে এন্টিভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরোও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রপ বেশি।