এবার তীরে এসে ডুবলো তরী

অন্যান্য

৪ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ শেষ ওভারের তিন বল হাতে রেখে দুই ম্যাচ পর জয়ে ফিরল। ১৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ১৩৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।

১৪১ রানের লক্ষ্যে নেমে ইনিংসের পঞ্চম বলে শামীমা সুলতানা ডাক মারলেন। হ্যালি ম্যাথিউসের শিকার হন তিনি। শারমীন আক্তার উইন্ডিজ এই বোলারের কাছে আউট হন ১৭ রানে।

৩০ রানে ২ উইকেট হারানোর পর গত দুই ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান ফারজানা হকের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তাদের জুটি ৩০ রানের বেশি হয়নি। দারুণ এক চার মারার পর অ্যাফি ফ্লেচারের বলে স্লগসুইপ করতে যান ফারজানা, কিন্তু বল মিস করেন তিনি। অফস্টাম্পে লাগে আঘাত। ৬৫ বলে ২৩ রানে আউট গত দুই ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি করা ফারজানা।

এই ফ্লেচার তার পরের ওভারে টানা দুটি উইকেট নেন। রুমানা আহমেদকে কট বিহাইন্ড ও রিতু মনিকে এলবিডব্লিউ করেন তিনি। সালমা খাতুনকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ছিলেন নিগার। ২৫ রান করে তিনি ম্যাথিউসের শিকার। ‍দুই বল পর ফাহিমা খাতুনও ডাক মারেন।

৮৫ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের জয়ের আশা জাগিয়ে রাখেন সাবেক অধিনায়ক সালমা, সঙ্গে ছিলেন নাহিদা আক্তার। জয় থেকে ৩১ রান দূরে থাকতে আউট হন সালমা। কারিশমা রামহারাককে ক্যাচ দেন তিনি স্টেফানি টেলরের বলে। ২৩ রান করেন সালমা।

ক্রিজে নেমে জাহানারা আলম এগিয়ে নিচ্ছিলেন। কিন্তু উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন টেলরের বলে। তার এক্সট্রা বাউন্সের বল পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ক্যাচ হন তিনি ৮ রান করে। ফারিহা তৃষ্ণাকে নিয়ে নাহিদা আক্তার শেষ আশা বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। শেষ ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিয়ে যান তারা।

শেষ ৬ বলে দরকার ছিল ৮ রান। টেলরের প্রথম বলে নাহিদা ডাবল নেন, দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল। তৃষ্ণা তৃতীয় বলে হন বোল্ড। ৪৯.৩ ওভারে ১৩৬ রানে অলআউট বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *