বগুড়ার ধুনট উপজেলায় যমুনা নদীর ভাণ্ডারবাড়ি ঘাট এলাকায় এবারই প্রথম মিলছে আকর্ষণীয় শারীরিক গঠনের নান্দনিক সৌন্দর্যের আধিকারী বিরল প্রজাতির মাছ। শনিবার সকালের দিকে মাছ ধরার সময় আব্দুর রহমান নামে স্থানীয় এক জেলের জালে আটকা পড়ে এমন একটি মাছ। স্থানীয়রা এটিকে বলছেন ‘টাইগার মাছ’। তবে মাছটির আসল নাম ‘সাকার মাউথ ক্যাটফিশ’।
নদীতে সাধারণত এমন মাছ মেলে না। তাই ‘অদ্ভুত’ এ মাছটি দেখতে নদীর তীরে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।
মাছটির শরীরে বাদামি রং এবং কালো রঙের ডোরাকাটা ছাপ রয়েছে। এ বৈশিষ্ট্যের কারণে স্থানীয় লোকজন এর নাম দেন টাইগার মাছ। প্রায়ই জেলেদের জালে একই প্রজাতির আরো মাছ ধরা পড়ছে এ নদীতে। জালে ধরা পড়া মাছের ওজন ৫০০ গ্রাম থেকে ২ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই মাছ স্থানীয় বাজারে আকারভেদে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।
যমুনাপারের ভূতবাড়ি গ্রামের জেলে আব্দুর রহমান বলেন, আমি দীর্ঘদিন ধরে যমুনা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করছি। নদীতে অন্যান্য মাছের সঙ্গে এবারই প্রথম এ প্রজাতির মাছ দু-একটি করে জালে ধরা পড়ছে। বিরল প্রজাতির এ মাছটি পেয়ে খুশি। নিজেদের খাবারের জন্য মাছটি বাড়িতে নিয়ে এসেছি। স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাক জানান, এমন মাছ দেখে আমি প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। কারণ, এর আগে এ ধরনের মাছ দেখিনি এবং মাছের নামটিও জানা ছিল না।
ধুনট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মীর্জা ওমর ফারুক বলেন, এটি বিদেশি মাছ। সাকার মাউথ ক্যাটফিশ ইংরেজি নাম হলেও এর বৈজ্ঞানিক নাম হাইপোস্টমাস। সাধারণত এ জাতীয় মাছগুলো মুখ দিয়ে চুষে খাবার খায়। বিভিন্ন দেশে এটি অ্যাকুয়ারিয়ামে শোভাবর্ধক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। পানির তলদেশে বাস করে এবং শ্যাওলাজাতীয় উদ্ভিদ খায়। মাঝেমধ্যে এ ধরনের মাছ পাওয়ার খবর পাওয়া যায়।