চলতি বছর কোন দেশ থেকে কতজন হজে অংশ নিতে পারবেন তা জানিয়েছে সৌদি আরব। একাধিক সূত্রের বরাতে শনিবার সৌদি গেজেট এ খবর জানিয়েছে।
এর আগে, এপ্রিলের শুরুতে সৌদি আরব জানিয়েছিল, এ বছর ১০ লাখ মানুষ হজ করতে পারবেন।
সূত্র জানিয়েছে, বরাবরের মতো এ বছরও ইন্দোনেশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন। ইন্দোনেশিয়া থেকে ১ লাখ ৫১ জনকে এবার হজ করার সুযোগ দেওয়া হবে। দ্বিতীয় স্থানে আছে পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকে হজ করার সুযোগ পাবেন ৮১ হাজার ১৩২ জন হজযাত্রী। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ভারতের ৭৯ হাজার ২৩৭ জনকে এবার হজ করার সুযোগ পাবেন।
এদিকে চতুর্থ অবস্থানে থাকা বাংলাদেশ থেকে হজের সুযোগ পাবেন ৫৭ হাজার ৫৮৫ জন হজযাত্রী।
আফ্রিকার দেশ অ্যাঙ্গোলা থেকে সবচেয়ে কম মানুষ হজ করার সুযোগ পাবেন। দেশটি থেকে মাত্র ২৩ জনকে হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। আরব দেশগুলোর মধ্যে মিশর থেকে ৩৫ হাজার ৩৭৫ জন হজ করার সুযোগ পাবেন এবার। আফ্রিকার দেশগুলোর মধ্যে নাইজেরিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি ৪৩ হাজার ৮ জন এবার হজ করতে পারবেন। এ ছাড়া ইরানের ৩৮ হাজার ৪৮১ ও তুরস্ক থেকে ৩৭ হাজার ৭৭০ জন হজের সুযোগ পাবেন।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৯ হাজার ৫০৪, রাশিয়া থেকে ১১ হাজার ৩১৮, চীন থেকে ৯ হাজার ১৯০ ও ইউক্রেন থেকে এবার ৯১ জনকে হজের সুযোগ দেবে সৌদি আরব।
এর আগে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, এ বছর ১০ লাখ মানুষ হজের সুযোগ পাবেন। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ ৮ লাখ ৫০ হাজার মানুষ বিভিন্ন দেশ থেকে হজে অংশ নেওয়ার অনুমতি পাবেন। এ ছাড়া সৌদি আরব থেকে দেড় লাখ মানুষকে হজের সুযোগ দেওয়া হবে।
এ বছর হজের জন্য দুটি শর্ত দিয়েছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহবিষয়ক মন্ত্রণালয়। শর্ত দুটি হলো, হজযাত্রীদের বয়স ৬৫ বছরের কম হতে হবে এবং নিতে হবে পূর্ণ ডোজ টিকা। সৌদির উদ্দেশে রওনার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পিসিআর টেস্টের নেগেটিভ সনদ লাগবে। এ ছাড়া প্রত্যেক হজযাত্রীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
করোনা মহামারির কারণে গত বছর সীমিতসংখ্যক হজযাত্রী হজে অংশ নেন। সৌদি আরবের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, গত বছর ৫৮ হাজার ৭৪৫ জন হজ পালন করেন। অথচ মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরুর আগের বছরগুলোতে প্রতিবছর হজ করতে সৌদি আরবে যাওয়া মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ২০ লাখ ছাড়িয়ে যেত।