রাজশাহী প্রতিনিধি : আগামী ১৯ জুন রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে নৌকার বিরোধীতা কারিদের আবারও দলীয় পদে বহাল রেখে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক করার অভিযোগ উঠেছে রাজশাহী-৩ আসনের সংসদ সদস্য আয়েন উদ্দিনসহ বেশ কিছু নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা ১১ টার দিকে রাজশাহী সাংবাদকি ইউনিয়ন কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে
নৌকার বিরুদ্ধে ভোটের প্রচার করে হারানোসহ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পবার পারিলা ইউনিয়নের মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও গত দুই বারের নৌকার মনোনিত প্রার্থী ফাহিমা খাতুন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি ২০১৬ সালে ও ২০২১ সালে পারিলা ইউনিয়ন নির্বাচনে আমি নৌকার মনোনিত প্রার্থী হয়ে ভোট করেছিলাম। দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে নৌকা প্রতীক দিয়ে
সম্মানিত করেছে।কিন্তু সেই সময় গুলোতে পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহরাব আলী ও সাধারণ সম্পাদক নবীবুর রহমানসহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতারা বর্তমান সংসদ সদস্য গোপনে মিটিং করে আমাকে পরাজিত করে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সাঈদ আলীকে বিজয়ী করার সিদ্ধান্ত নেয়।
তারা সেই সময়ে সরাসরি নৌকার বিরোধীতা আমাকে বারংবার এমপি আয়েনসহ বেশ কিছু নেতা ভোটের মাঠে পরাজিত করে ফলে আমি এসব নেতাদের কারণে বিজয়ী হতে পারিনি। যা দল, নৌকা ও আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সাথে সরাসরি বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে । এমন বিশ্বাস ঘাতকতা ক্ষমার অযোগ্য।
সেই সময়ে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দকে লিখিত অভিযোগ দিলে নেতারা ভোটারদের উৎসাহিত করতে মাঠে আসে এবং সোহরাব আলীর বাড়ীতে দেখা করে। তারা সোহরাব আলীকে নৌকার পক্ষে কাজ করার অনুরোধ জানালেও তিনি নৌকার পক্ষে কাজ করবে না বলে সরাসরি জানিয়ে দেন।
তার এমন কথায় নেতৃবৃন্দ তার বিরুদ্ধে সংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানালে তিনি পাল্টা হুমকি দেন যা ইচ্ছে করতে পারেন। তাদের এমন কর্মকান্ডের কারনেই বারবার আমি নৌকা প্রতীক পেয়েও পরাজিত হচ্ছি।
নেতাদের এমন অসদাচরণ ও কর্মকান্ড বহাল রাখলেও আমি সকল সময় আওয়ামী লীগের সকল কর্মকান্ড পালন করে আসছি। কোন কাজে গাফলতি বা পেছনে সরে যায়নি। প্রকৃত আওয়ামী লীগ কর্মী সাধারণ মানুষের সাথে যোগাযোগ ঠিক করে দলের জন্য নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, আগামী ১৯ জুন দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে আমি সভাপতি প্রার্থী হিসেবে আছি। তবে আমরা জানতে পারলাম যে আমাদের এমপি আয়েন উদ্দিন আবারও নৌকার বিরোধীতাকারি সোহরাব আলী ও নবীবুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করার জন্য অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এতে করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও ভোটাররা হতাশ ও ক্ষুদ্ধ।
গত ১৩ জুন এমপি আয়েন উদ্দিনকে বারবার ফোন দিয়ে ব্যর্থ হয়। দিন শেষে তিনি ফোন ব্যাক করলে নিজের পরিচয় দিলে সঙ্গে সঙ্গে তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে বলেন, আপনি আর আমাকে কোনদিন ফোন দিবেন না বা যোগাযোগ করবেন না বলে জানান। এমপির সাথে কোন আমার দ্বন্দ্ব বা বিরোধীতা নেই । তবে কি করনে আমাকে অপমান করে তা আমি নিজেও বুঝতে পারিনা।
তিনি এসবের অবসান চেয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তা ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ জানান এবং প্রকৃত তৃণমূল আওয়ামী লীগের কান্ডারীদের মূল্যায়নের আবেদন জানান। পাশাপাশি তিনি আগামী ১৯ জুনের পারিলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করার জন্য বিনীত অনুরোধ জানান।