ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ দূতাবাস ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জাতির দীর্ঘ প্রতিক্ষিত স্বপ্নের পদ্মা সেতুর জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধন উদযাপন করেছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার রাতে দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বাংলাদেশে পদ্মা সেতুর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আলোচনায় অংশ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ সহিদুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের অহংকার, গৌরব ও আত্মমর্যাদার প্রতীক।
রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থায়নে সেতুর কাজ সম্পন্ন করে দেশের ১৮ কোটি মানুষের দীর্ঘদিনের স্বপ্নপূরণ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত ইসলাম বলেন, দেশ-বিদেশে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বিচক্ষণ সিদ্ধান্ত এবং নেতৃত্বের পাশাপাশি দৃঢ় সংকল্প ও মনোবলের কারণে দেশের বৃহত্তম অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সেতুটি নির্মাণ করে সারা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন। এমন একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা ও সামর্থ্য বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশের রয়েছে।
এর আগে ডেপুটি চিফ অব মিশন ফেরদৌসী শাহরিয়ার স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনায় অংশ নেন বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনাইদ কামাল আহমেদ এবং নর্থ ক্যারোলিনা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ডঃ এবিএম নাসির।
বিশ্বব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনাইদ আহমেদ বলেন, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণ দেশের জন্য বিশাল গৌরবের ব্যাপার। তিনি বলেন, গত কয়েক বছরে দেশের যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এবং পদ্মা সেতু এই খাতকে আরও শক্তিশালী করেছে।
জুনায়েদ আহমেদ আশা প্রকাশ করেন, পদ্মা সেতু বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি উচ্চ আয়ের দেশে পরিনত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
তিনি বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ককে গভীর আখ্যায়িত করে বলেন, বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের স্থানীয় সরকার ও জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
অধ্যাপক নাসির তার বক্তব্যে যোগাযোগ খাতকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে পদ্মা সেতুর বিভিন্ন ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দূরদর্শী নেতৃত্বে নির্মিত পদ্মা সেতুর কারণে কোটি কোটি বাঙালির স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
এর আগে এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং পদ্মা সেতুর ওপর প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এছাড়া পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ চ্যান্সেরী আলোকসজ্জিত করা হয়।
দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পরে টেলিভিশনে পদ্মা সেতুর জাকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার প্রত্যক্ষ করেন।-বাসস