লোকমান আনছারী রাউজান প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের রাউজান থেকে চার বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল যোগে কক্সবাজার যাওয়ার পথে শাহেদ আলম সাজ্জাদ(২২)নামের এক ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
২৯ জুলাই(শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহসড়কের চকরিয়া মালুম ঘাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলে থাকা মো. মিশকাত (২৫) নামের অপর আরেকজন।
নিহত শাহেদ উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মুকারদিঘী পাড়া গ্রামের মো. ইয়াসিন ফারুকের ছেলে। সে ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সবার বড়। শাহেদ স্থানীয় নোয়াপাড়া ডিগ্রী কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র। পড়ালেখার পাশাপাশি সে একটি ঔষধ কোম্পানিতে এস.আর হিসেবে কর্মরত ছিল।
শুক্রবার দুপুরে শাহেদের মরদেহ বাড়ীতে নিয়ে আসলে সৃষ্টি হয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের।ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক মা, বাবা। ভাইকে হারিয়ে কান্না যেন থামছেই না ছোট ভাই বোনের। জানা যায়, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়া পৌছালে পেছন থেকে একটি বাস ধাক্কা দিলে বাইক থেকে ছিটকে পড়ে অপর দিক থেকে আসা অপর একটি বাসের চাকায় পৃষ্ট হয় শাহেদ। স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।শাহেদের সঙ্গে একই মোটরসাইকেলে থাকা মো. মিশকাত জানান, সকাল ৬ টার দিকে আমরা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। চকরিয়া পৌছালে আমাদের বাইকের পেছনে একটি বাস ধাক্কা দিলে আমি রাস্তার বাম পাশে ছিটকে পড়ি এবং শাহেদ ডান পাশে ছিটকে পরে বাসের নিচে পরে যায়। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।শাহেদের সঙ্গে যাওয়া অপর মোটরসাইকেলে থাকা মো.আরমান ও সোহরাব আলী জানান,আমরা ঘটনাস্থলে থেকে ১০-১২ কিলোমিটার দূরে এগিয়ে ছিলাম। ওদের দেখতে না পেয়ে ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। পেছন থেকে ফিরে এসে শুনি ওরা দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। পরে হাসপাতালে গেলে তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়।স্থানীয়রা জানান, শাহেদ অত্যন্ত বিনয়ী ও ভদ্র ছেলে ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারের সংসারের হাল ধরেছিল সে। তাকে এভাবে হারাবো কল্পনাও করিনি।স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সোহেল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কক্সবাজার যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় শাহেদের। আজ বাদে মাগরিব জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।শাহেদের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।