বাংলা সিনেমাকে হার মানিয়াছে বগুড়া কারাগারের কনডেম সেলের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি পালানোর ঘটনা। সেই আলোচিত ঘটনায় বগুড়া জেলা কারাগারের ৩ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত (সাসপেন্ড) করা হয়েছে। এছাড়া অপর দুই কারারক্ষীর কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বগুড়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আনোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাময়িক বরখাস্ত ৩ কারারক্ষী হলেন- বগুড়া জেলা কারাগারের প্রধান কারারক্ষী দুলাল হোসেন, কারারক্ষী আব্দুল মতিন ও কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম। কারারক্ষী ফরিদুল ইসলাম ও হোসেনুজ্জামানকে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। এছাড়াও কারা অধিদপ্তর থেকে ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল শেখ সুজাউর রহমানকে প্রধান করে গঠিত ৩ সদস্যের কমিটিকে আগামী ৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এএসএম আনিসুল হক স্বাক্ষরিত তদন্ত কমিটিকে এ বিষয়ে ৬টি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো- কয়েদি পলায়নের পূর্বাপর ঘটনা উদঘাটন। কয়েদি পলায়নের ঘটনায় কারা প্রশাসনের দুর্বলতা উদঘাটন। অবকাঠামোগত ক্রটি আছে কি-না তা উদঘাটন। দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিষয়ে বিধিসম্মত মতামত ও সুপারিশ প্রদান। ভবিষ্যতে বন্দী পলায়ন রোধে মতামত ও সুপারিশ প্রদান।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টায় বগুড়া জেলা কারাগারের জাফলং নামের কনডেম সেলের ২নম্বর ওয়ার্ডের ছাদ ফুটো করে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ৪ কয়েদি পালিয়ে যায়। কয়েদি পালানোর এক ঘণ্টার মধ্যেই শহরের চেলোপাড়া চাষী বাজার থেকে পুলিশ ৪ কয়েদিকে গ্রেপ্তার করে। তারা বেশকিছু দিন যাবৎ একই কক্ষে অবস্থান করছিল।