ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ, স্পষ্ট করলো ইসি নির্বাচনের আগে ৪ হাজার এএসআই নিয়োগ দেওয়া হবে: আইজিপি ৯ সেপ্টেম্বরেই হবে ডাকসু নির্বাচন: আপিল বিভাগ কাপ্তাইয়ে ভি ডব্লিউ বি কার্ড ধারীদের চাল বিতরণ অনুষ্ঠিত  খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে বৃদ্ধার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার মালয়েশিয়ার বুকিত বিনতাং এ ৩৭৭ জন বাংলাদেশিসহ ৭৭০ জনকে আটক করছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ১৬ টি দল নিয়ে সৌদি আরবে প্রবাস বাংলা প্রিমিয়ার লিগ ১২ই সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ফুলকোর্টে শুনানি আজ এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ বিচারকদের নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের হাতে থাকবে: হাইকোর্ট

কবরে আর জেলখানায় একাই যেতে হয়, কলিমুল্লাহকে আদালত

সাংবাদিক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেফতার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক আসামি কমিমুল্লাহকে বলেন, কবরে আর জেল খানায় একাই যেতে হবে।

এদিন বিকাল ৪টার দিকে তাকে দুদকের সাদা মাইক্রোবাসে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে সরাসরি আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহজ বিন ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।এরপর ৪টা ১৬ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। পরে ৪টা ২২ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। তখন কমিমুল্লাহ কাঠগড়ার সামনে এসে দাঁড়ান। এ সময় আসামিপক্ষে জামিন ও ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়।

এ সময় শুনানিতে আইনজীবী শাহনাজ আক্তার বলেন, তিনি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে বিধি মোতাবেক কাজ করেছেন। তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করেননি। বয়স বিবেচনায় যেকোনো শর্তে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কোন সালে ভিসি হয়েছেন? উত্তরে কমিমুল্লাহ বলেন, তৎকালীন সরকার আমাকে ২০১৭ সালে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়।

তখন বিচারক ফের বলেন, আপনি তো ফুলটাইম ঢাকায় থাকতেন। আপনি ১৩৫২ দিনের মধ্যে ১১১৫ দিন ঢাকায় থেকেছেন। তখন তিনি বলেন, দীপু মনি অন্যায় আবদার করতেন। এটা মেনে না নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছে। আমি ১৭/১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি। তার বিরুদ্ধে আমি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীপু মনি এগুলো ছড়িয়েছেন।তখন বিচারক বলেন, আপনি ও আপনার মা একই নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন? তখন তিনি বলেন, তিনি (তার মা) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজি ছিলেন। এজন্য সরকার নিয়োগ বোর্ডে সদস্য করেন।

তখন বিচারক বলেন, আপনি কি ভিসি, বিভাগীয় প্রধান ও ডিন ছিলেন? তখন কলিমুল্লাহ বলেন, আমিই প্রথম না। আমার আগের ভিসির ধারাবাহিকতায় রক্ষায় এসব দায়িত্বে ছিলাম। বিশেষ পরিস্থিতিতে এ দায়িত্বে থাকতে হয়েছে। বিচারক জানতে চান, চার বছরে উন্নয়ন খাতে কোনো টাকা পেয়েছেন? তখন তিনি বলেন, আমার আগের ভিসি নুর নবীর সময় ৯৯ কোটি টাকার কাজ চলমান ছিল। আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ চলমান রেখেছি।

তখন তিনি আরও বলেন, চাকরি বাণিজ্য বন্ধ করেছিলাম। তখন দুদকের আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমি বলেন, তিনি ঢাকায় থাকতেন। টকশো করতেন নিয়মিত। উনি কিভাবে ১৭/১৮ ঘণ্টা কাজ করেন? তখন কলিমুল্লাহ বলেন, আমি রাতের বেলা টকশো করতাম। তখন বিচারক জানতে চান, তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কিনা? তখন দুদক জানায়, অন্য কোনো মামলা নেই। তখন বিচারক আসামির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে, সেটা তদন্ত হলে পুরাটা বেরিয়ে আসবে। তখন কলিমুল্লাহ বলেন, আমি কোনো চিঠিপত্র পায়নি। আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকা হয়নি। সকালে বাসা থেকে আমাকে পুলিশ নিয়ে আসছে। এক পোশাকে একাই চলে এসেছি।

তখন বিচারক বলেন, কবরে আর জেল খানায় একাই যেতে হবে। দুনিয়া থেকে যখন যাবেন সঙ্গে কেউ যাবেন না। যারা দুর্নীতি করে তারা কবরেও একা, জেল খানাতেও একা যাবে। আপনি কী করেছেন তা আলিমুল গায়েব জানেন, আপনিও জানেন। কিছুদিন পর দুদক জানবে। আপনাকে জেল খানায় যেতে হবে। আপনি কারাবিধি অনুযায়ী সুবিধা পাবেন। কোনো ওষুধপত্র প্রয়োজন হলে আপনাকে দেওয়া হবে। এরপর বেলা ৪টা ৪২ মিনিটে তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ১৮ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেইউ এফডিআর ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেন এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০১:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
৫৭৬ Time View

কবরে আর জেলখানায় একাই যেতে হয়, কলিমুল্লাহকে আদালত

আপডেটের সময় : ০১:২৭:৩৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ অগাস্ট ২০২৫
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেফতার রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক আসামি কমিমুল্লাহকে বলেন, কবরে আর জেল খানায় একাই যেতে হবে।

এদিন বিকাল ৪টার দিকে তাকে দুদকের সাদা মাইক্রোবাসে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে সরাসরি আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। পরে দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহজ বিন ইসলাম তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।এরপর ৪টা ১৬ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠেন। পরে ৪টা ২২ মিনিটে শুনানি শুরু হয়। তখন কমিমুল্লাহ কাঠগড়ার সামনে এসে দাঁড়ান। এ সময় আসামিপক্ষে জামিন ও ডিভিশন চেয়ে আবেদন করা হয়।

এ সময় শুনানিতে আইনজীবী শাহনাজ আক্তার বলেন, তিনি কোনো অর্থ আত্মসাৎ করেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে বিধি মোতাবেক কাজ করেছেন। তিনি নিয়মবহির্ভূতভাবে কোনো কাজ করেননি। বয়স বিবেচনায় যেকোনো শর্তে জামিন দিলে তিনি পলাতক হবেন না। শুনানির এক পর্যায়ে বিচারক তাকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কোন সালে ভিসি হয়েছেন? উত্তরে কমিমুল্লাহ বলেন, তৎকালীন সরকার আমাকে ২০১৭ সালে ভিসি হিসেবে নিয়োগ দেয়।

তখন বিচারক ফের বলেন, আপনি তো ফুলটাইম ঢাকায় থাকতেন। আপনি ১৩৫২ দিনের মধ্যে ১১১৫ দিন ঢাকায় থেকেছেন। তখন তিনি বলেন, দীপু মনি অন্যায় আবদার করতেন। এটা মেনে না নেওয়ায় আমার বিরুদ্ধে অপবাদ দিয়েছে। আমি ১৭/১৮ ঘণ্টা কাজ করেছি। তার বিরুদ্ধে আমি প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করেছিলাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দীপু মনি এগুলো ছড়িয়েছেন।তখন বিচারক বলেন, আপনি ও আপনার মা একই নিয়োগ বোর্ডে ছিলেন? তখন তিনি বলেন, তিনি (তার মা) মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ডিজি ছিলেন। এজন্য সরকার নিয়োগ বোর্ডে সদস্য করেন।

তখন বিচারক বলেন, আপনি কি ভিসি, বিভাগীয় প্রধান ও ডিন ছিলেন? তখন কলিমুল্লাহ বলেন, আমিই প্রথম না। আমার আগের ভিসির ধারাবাহিকতায় রক্ষায় এসব দায়িত্বে ছিলাম। বিশেষ পরিস্থিতিতে এ দায়িত্বে থাকতে হয়েছে। বিচারক জানতে চান, চার বছরে উন্নয়ন খাতে কোনো টাকা পেয়েছেন? তখন তিনি বলেন, আমার আগের ভিসি নুর নবীর সময় ৯৯ কোটি টাকার কাজ চলমান ছিল। আমি দায়িত্ব নিয়ে কাজ চলমান রেখেছি।

তখন তিনি আরও বলেন, চাকরি বাণিজ্য বন্ধ করেছিলাম। তখন দুদকের আইনজীবী দেলোয়ার জাহান রুমি বলেন, তিনি ঢাকায় থাকতেন। টকশো করতেন নিয়মিত। উনি কিভাবে ১৭/১৮ ঘণ্টা কাজ করেন? তখন কলিমুল্লাহ বলেন, আমি রাতের বেলা টকশো করতাম। তখন বিচারক জানতে চান, তার বিরুদ্ধে আর কোনো মামলা আছে কিনা? তখন দুদক জানায়, অন্য কোনো মামলা নেই। তখন বিচারক আসামির উদ্দেশ্যে বলেন, আপনার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আছে, সেটা তদন্ত হলে পুরাটা বেরিয়ে আসবে। তখন কলিমুল্লাহ বলেন, আমি কোনো চিঠিপত্র পায়নি। আমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ডাকা হয়নি। সকালে বাসা থেকে আমাকে পুলিশ নিয়ে আসছে। এক পোশাকে একাই চলে এসেছি।

তখন বিচারক বলেন, কবরে আর জেল খানায় একাই যেতে হবে। দুনিয়া থেকে যখন যাবেন সঙ্গে কেউ যাবেন না। যারা দুর্নীতি করে তারা কবরেও একা, জেল খানাতেও একা যাবে। আপনি কী করেছেন তা আলিমুল গায়েব জানেন, আপনিও জানেন। কিছুদিন পর দুদক জানবে। আপনাকে জেল খানায় যেতে হবে। আপনি কারাবিধি অনুযায়ী সুবিধা পাবেন। কোনো ওষুধপত্র প্রয়োজন হলে আপনাকে দেওয়া হবে। এরপর বেলা ৪টা ৪২ মিনিটে তাকে আদালত থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি বাসা থেকে কলিমুল্লাহকে গ্রেফতার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গত ১৮ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক মিনহাজ বিন ইসলাম বাদী হয়ে কলিমউল্লাহসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে।

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও প্রকল্প পরিচালক এ কে এম নূর-উন-নবী, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ও দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদার মো. আ. সালাম বাচ্চু এবং এম এম, হাবিবুর রহমান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশ, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদিত ডিপিপি উপেক্ষা করে নকশা পরিবর্তন করেন। তারা ৩০ কোটি টাকা মূল্যের বেশি চুক্তি মন্ত্রণালয় বা বিভাগের অনুমোদন ছাড়া করেন। ঠিকাদারের রানিং বিল থেকে কেটে নেওয়া নিরাপত্তা জামানতকে এফডিআর হিসেবে ব্যাংকে জমা রাখা এবং সেইউ এফডিআর ঠিকাদারকে লোন দেওয়ার জন্য নো অবজেকশন সার্টিফিকেট অনুমোদন তথা গ্যারান্টার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সরকারের চার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তিতে অগ্রিম অর্থ দেওয়ার কোনো আইন না থাকা সত্ত্বেও অগ্রিম বিল দেন এবং অগ্রিম দেওয়া বিল সমন্বয়ের আগেই বিলের বিপরীতে প্রদত্ত ব্যাংক গ্যারান্টিগুলো অবমুক্ত করা হয়। প্রথম পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া ড্রইং বা ডিজাইন না মেনে সরকারি খাতে ক্রয় পদ্ধতির বিধি বহির্ভূতভাবে দ্বিতীয় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হয়। অস্বাভাবিক হারে মূল্য দাখিল বা ফ্রন্ট লোডিং থাকা সত্ত্বেও পিপিআর ২০০৮ এর বিধান অনুযায়ী দরপত্র মূল্যায়ন না করার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।