করোনাভাইরাসে প্রথম মৃত্যুর খবর জানানোর দুই দিন পর শনিবার (১৪ মে) উত্তর কোরিয়া জানাল, দেশটিতে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে আরও ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
কেসিএনএ জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার সারা দেশে নতুন করে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৪৪০ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত কতজন মারা গেছেন, সেই তথ্য জানানো হয়নি।
গত বৃহস্পতিবার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম কোনো নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল উত্তর কোরিয়া। কেসিএনএ জানিয়েছিল, জ্বরে ভুগে ছয় ব্যক্তি মারা গেছেন। তাঁদের মধ্যে একজনের শরীরে ওমিক্রন শনাক্ত হয়েছে। এরপর আজ আরও ২১ জনের মৃত্যুর কথা জানাল কেসিএনএ।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন সারা দেশে লকডাউন জারি করেছেন। দেশটিতে অন্তত ১ লাখ ৮৭ হাজার মানুষ বর্তমানে জ্বর নিয়ে ঘরবন্দী অবস্থায় আছেন এবং তাঁদের চিকিৎসা চলছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, রাজধানীর বাইরেও করোনার সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। এপ্রিলের শেষের দিকে কোনো কারণ ছাড়াই জ্বরে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দ্রুত বাড়তে শুরু করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দুর্বল স্বাস্থ্যসেবা এবং করোনা টিকার কর্মসূচি না থাকার কারণে দেশটির আড়াই কোটি মানুষ ঝুঁকিতে আছে।
গত বছর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় উত্তর কোরিয়াকে অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও চীনের তৈরি লাখ লাখ ডোজ দিতে চেয়েছিল, কিন্তু উত্তর কোরিয়া তা গ্রহণ করেনি। উল্টো রাষ্ট্রপক্ষ দাবি করেছিল, উত্তর কোরিয়ায় কোনো করোনা সংক্রমণ নেই। ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে সীমান্ত বন্ধ রেখে তারা করোনা সংক্রমণ রুখে দিয়েছে।