মোঃ রাকিব হোসেন(কুমিল্লা প্রতিনিধি)।।
কুমিল্লা নগরী ও বিভিন্ন উপজেলায় অভিযানে চালিয়ে গত কয়েকদিনে লাইসেন্সবিহীন ২৬টি হাসপাতাল ও ক্লিনিক সিলগালা করেছে প্রশাসন। এছাড়া, অনেক হাসপাতালকে নানা অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সূত্রে জানা গেছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশে লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত কয়েকদিনে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার লাইসেন্সবিহীন হাসপাতাল ও ক্লিনিক সিলগালা করা হয়েছে। এছাড়া, অনেক ক্লিনিক ও হাসপাতালকে অনিয়মের অভিযোগে জরিমানা করা হয়েছে।
কুমিল্লা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. মেহেদী হাসান বলেন, আমরা জেলার প্রতিটি উপজেলার অবৈধ হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে অভিযান চালাচ্ছি। কিছু হাসপাতাল অবৈধ, তাই বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গতকাল (রোববার) আমরা ৭ প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্সের শর্তপূরণ না করা পর্যন্ত বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। প্রতিদিন আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নাছিমা আকতার বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনায় কুমিল্লায় পরিচালিত অভিযানে ২৬টি হাসপাতাল, ল্যাব ও থেরাপি সেন্টার বন্ধ করা হয়েছে। জনস্বার্থে অভিযান অব্যাহত থাকবে। তালিকা দেখে প্রতিটি উপজেলা অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
কুমিল্লা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস আবদুর রব বলেন, লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমাদের আগে উচিত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহণ। দুঃখের বিষয় আমরা আগেই প্রতিষ্ঠান খুলে বসি। নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন, আশা করি কুমিল্লার লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, তিতাস উপজেলায় নানা অনিয়মের অভিযোগে চার হাসপাতাল ও ক্লিনিককে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এর কয়েকদিন আগেই নগরীর পপুলার হসপিটালসহ দুই ক্লিনিককে জরিমানা করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কুমিল্লা নগরী ও জেলায় ছোট-বড় মিলে বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার আছে প্রায় সাত শতাধিক। এর মধ্যে লাইসেন্স হয়েছে ৪৬৬টির।