কুমিল্লা জেলার ময়নামতিতে ৮ নবেম্বর শনিবার কমনওয়েলথভুক্ত দেশ সমূহের ময়নামতি ওয়ার সিমিট্রিতে -নিহতদের স্মরনে পূস্পস্তবক ও শ্রদ্ধা নিবেদন
কুমিল্লা জেলার ময়নামতি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে( ১৯৩৯-১৯৪৫) বার্মায় সংঘটিত যুদ্ধে যেসকল বহুসংখ্যক সৈন্য নিহত হয়েছিল তাদের মধ্যে ৭৩৭ জন সৈন্যকে কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট সংলগ্ন বু্ড়িচং এর ময়নামতি এলাকায় তৎকালীন সময়ে সমাধীস্থ করা হয়েছিল। তাদের এই মহান আত্মত্যাগের প্রতি সন্মান জানাতে ও স্মরন করতে গত ৮ নভেম্বর ২০২৫ শনিবার জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা,স্মরন সংগীত, পুষ্পস্তবক অর্পন, দুই মিনিট নিরবতা পালন, প্রার্থনানুষ্ঠানসহ নানান আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে নিহত সৈন্যদের সন্মান জানানো হয়। এতে অংশগ্রহণ করেন কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের হাইকমিশনার, রাষ্ট্রদূত, কূটনীতিক, আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ। তন্মধ্যে ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক, জাপান রাষ্টদূত ইওয়ামা, ইতালি রাষ্টদূত অ্যান্টিনিও অ্যালেসান্দ্রো, অষ্ট্রেলিয়া কূটনীতিক নার্দিয়া সিম্পসন, কানাডার প্রতিনিধি মার্কাস ডোভস, স্পেনের রাষ্টদূত গ্যাব্রিয়েল সিষ্টিয়াগা, নরওয়ে রাষ্টদূত হাকন আরাল্ড গুলব্রান্ডসে আরাল, ডেনমার্ক প্রতিনিধি অ্যান্ডারস বি কার্লান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মেগান বোল্ডিন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি মেগান বোল্ডিন, ব্রিটিশ কাউন্সিলর ষ্টিফেন ফোর্বসসহ কুমিল্লা সেনানিবাসের বিগ্রিডিয়ার জেনারেল মেহেদি হাসান চৌধুরী পিএসসি, ভারতের ডিফেন্স এডভাইজার বিগ্রেডিয়ার এম এস সাবরওয়াল, পাকিস্তানের পলিটিক্যাল কাউন্সিলর সাইয়েদ আহম্মেদ ফারক। উক্ত অনুষ্ঠানটিতে বিভিন্ন পরযায়ের ১৮৪ গুরুত্বপূর্ণ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। দ্বিতিয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে বিভিন্ন এলাকায় নিহতদেরকে ঢাকা, ফরিদপুর ,পাকশী, সৈয়দপুর সহ বিভিন্ন ছোট ছোট জায়গায় সমাহিত করা হয়। তন্মধ্যে ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি অত্যন্ত পরিসরে অবস্থিত। ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি বাংলাদেশ কান্ট্রি এডমিনিস্ট্রেটর মো: আব্দুল রহিম সবুজ জানান ময়নামতি ওয়ার সিমেট্রি প্রায় চার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত, দৃষ্টিনন্দন ও বেশিসংখ্যক নিহতদের সমাধিস্থান। সার্ভিস অফ রিমেম্বার ময়নামতি কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেইভস সিমেট্রি,, কুমিল্লা, প্রকাশিত শিরোনাম তথ্যসূত্রমতে এখানে যুক্তরাজ্যের ৩৫৮ জন, কানাডার ১২ জন, অষ্ট্রেলিয়ার ১২ জন, নিউজিল্যান্ডের ৪ জন, অবিভক্ত ভারতের ১৭৮ জন, পূর্ব আফ্রিকার ৫৬ জন, পশ্চিম আফ্রিকার ৮৬ জন, দক্ষিন আফ্রিকার ১ জন, বার্মার ১ জন, বেলজিয়ামের ১ জন, পোলান্ডের ১ জন, রোডেশিয়ার ১ জন সৈন্যসহ মোট ৭১৩ জন সৈন্য বর্তমানে সমাহিত আছেন। এখানে পূর্বে আরোও ২৫ জন জাপান সৈন্য সমাহিত ছিলো তাদের দেহাবশেষ নিজ দেশে ফেরত নেয়া হয়েছে।
























