হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ সকালে সাধুদের বাল্যসেবা দিয়েছে লালন একাডেমি। এরপর তারা কালীঙগঙ্গা নদীতে স্নান করে প্রস্তুতি নেন পূর্ণসেবার। এর মধ্যে চলতে থাকে গুরুকর্ম। দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্যদিয়ে সব আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
ভেঙে গেল জমজমাট সাধুর হাট। শুক্রবার থেকে আবার আখড়াবাড়ি ছেড়ে যাচ্ছেন সাধু-বাউলরা। বৃহস্পতিবার রাতে লালন স্মরণোৎসবের সমাপ্তি হলেও পূর্ণিমার তিথি অনুযায়ী আজও কিছু আনুষ্ঠানিকতা পালন করেছেন তারা।
বিদায় বেলায় এলাকায় গিয়ে লালনের মানবতার দর্শন প্রচারের কথা বলার অঙ্গীকার করেন সাধু-বাউলরা, ছিল আবার মিলিত হওয়ার আশাও।
বৃহস্পতিবার রাতে লালন স্মরণোৎসবের সমাপনী দিনের আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ।
এ সময় লালনের মানবতাবাদের বন্দনা করেন তিনি। বলেন, ‘ফকির লালন সাঁই আমাদের পথ প্রদর্শক। তিনি মানবতার জয়গান গেয়েছেন। তার একাডেমিক শিক্ষার খবর আমরা পাইনি অথচ এই মরমী সাধক কী অসামান্য কথা মানবজাতির কল্যাণের জন্য বলে গেছেন।’
এ দিকে সমাপনী অনুষ্ঠানের আলোচনা ও গানে আবার মিলিত হওয়ার বাসনা ফুটে ওঠে সবার মধ্যে।
তিন দিনের লালন স্মরণোৎসব বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হলেও রীতি অনুসারে শুক্রবার সাধু-ফকিরদের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারতে হয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকালে সাধুদের বাল্যসেবা দিয়েছে লালন একাডেমি। এরপর তারা কালীঙগঙ্গা নদীতে স্নান করে প্রস্তুতি নেন পূর্ণসেবার। এর মধ্যে চলতে থাকে গুরুকর্ম। দুপুরে পূর্ণসেবার মধ্যদিয়ে সব আয়োজনের সমাপ্তি হয়।
এরপর থেকেই সাধু-বাউলরা ছেড়ে যাচ্ছেন আখড়াবাড়ি। এবারের লালন স্মরণোৎসবে ভক্ত-অনুসারী ও দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি, ছিল বিদেশি পর্যটকের আনাগোনাও।
আগামী পহেলা কার্তিক লালনের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আবার বসবে সাধু সঙ্গ, মিলন মেলা