বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শিক্ষার্থী মো. এনামুল হকের পাশে দাঁড়ালেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সমাজসেবক ও শিক্ষানুরাগী আল মাছুম মুর্শেদ শান্ত।
আজ বুধবার সন্ধায় এনামুলকে তাঁর নিজ কার্যালয় ডেকে পাঠান তিনি। এ সময় তাকে নগদ ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করেন আওয়ামী লীগ নেতা শান্ত। এছাড়াও তাঁর পড়াশোনা সচল রাখতে প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
এনামুল কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের বেলগাছি গ্রামের মো. ইসরাইল হোসেনের ছেলে। তিনি ২০২১ – ২০২২ শিক্ষাবর্ষে গত ২৯ জুলাই বুয়েটের ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হয়েছেন। তাঁর বাবা একজন ইজিবাইক চালক। এনামুল এক বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে মেঝো। তিনি ২০১৯ সালে এসএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া জিলা স্কুল থেকে (বিজ্ঞান বিভাগ) জিপিএ -৫ পেয়ে অর্জন করেন এবং ২০২১ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ থেকে গোল্ডেন জিপিএ -৫ অর্জন করেন।
জানা গেছে, মেধাবী ও কৃতি শিক্ষার্থী এনামুলের বাবা একজন ইজিবাইক চালক হওয়ায় অর্থাভাবে বুয়েটে পড়াশোনা চালিয়ে নেওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে সোস্যাল মিডিয়ায় এনামুলের অসহায়ত্বের এমন খবর প্রকাশিত হলে নজরকাড়ে আওয়ামী লীগ নেতা শান্তর। তাঁকে পাশে দাঁড়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আজ বুধবার সন্ধায় এনামুলকে নিজ কার্যালয়ের ডেকে পাঠান তিনি। পরে তাঁকে নগদ ১০ হাজার টাকা সহযোগীতা করেন তিনি। এছাড়াও প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকা সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দেন তিনি।
এ বিষয়ে বুয়েট ছাত্র এনামুল হক বলেন, ‘ বাবা ইজিবাইক চালক হওয়ায় খুব ছোট থেকে দারিদ্র্যতার সাথে যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে আসছি। অনেক গুণীমানুষের সহযোগীয় আমার এপর্যন্ত আশা। সকলের দোয়ায় বুয়েটে ভর্তির সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু বুয়েট পড়া খুব ব্যয়বহুল হওয়ায় সাময়িক আর্থিক সংকটে পড়েছি। বুয়েটে সেটেল হতে পারলে টিউশনি করে চলতে পারব।’
তিনি আরো বলেন, ‘ প্রথমে মানবিক ইউএনও স্যার আমার অসহায়ত্বের খবর পেয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। এরপর আওয়ামী লীগ নেতা শান্ত ভাই সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। আমি খুব আনন্দিত ও গর্বিত। প্রতিষ্ঠিত হলে ভবিষ্যতে আমিও মানুষের পাশে দাঁড়াবো।’
এ বিষয়ে খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের যগ্ম সাধারণ সম্পাদক আল মাছুম মুর্শেদ শান্ত বলেন, ‘ সাংবাদিক মিজানুর রহমান নয়নের ফেসবুক থেকে মেধাবী ছাত্র এনামুলের কথা জানতে পারি। পরে তাঁকে ১০ হাজার টাকা উপহার দিয়েছি। এনামুলের এ সমস্যা যতদিন থাকবে, ততদিন প্রতিমাসে ১০ হাজার করে টাকা দেওয়া হবে।’