কুষ্টিয়া মডেল থানার গৃহকর্তা জালাল হত্যা মামলায় ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া সাহাবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মারিয়া আহমেদকে যাবজ্জীবন করাদণ্ডসহ অর্থদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ অতিরিক্ত আদালত-১ এর বিচারক তাজুল ইসলাম জনাকীর্ণ আদালতে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।
সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত মুন্তাজ মন্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলাম (২৮) এবং সাহাবুলের স্ত্রী একই এলাকার মারুফ হোসেনের মেয়ে মারিয়া আহমেদ (২২)। তবে কর্মসূত্রে সাহাবুল-মারিয়ার বর্তমান ঠিকানা- মাগুরা জেলার নিজনান্দুলিয়া গ্রামে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি দুপুরে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বারখাদা গ্রামের বাসিন্দা জালাল উদ্দিন তার নিজ বাড়িতে অবস্থান করাকালে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া সাহাবুল-মারিয়া পরস্পর যোগসাজশে গৃহকর্তা জালালের ঘরে কাপড় চুরি করতে যান।
চুরি করা দেখে ফেলায় গৃহকর্তা জালাল উদ্দিনকে সাহাবুল ও মারিয়া বটি ও ব্লেড দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে ঘরের মেঝেতে লেপ মুড়িয়ে লাশ ফেলে রাখে।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন বাদী হয়ে ২৫ জানুয়ারি ঘটনার দিনেই কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক আননুর জায়েদ মামলাটি মাত্র ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত শেষে ৩১ জানুয়ারি ২০২০ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
কুষ্টিয়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট অনুপ কুমার নন্দী জানান, সদর থানার গৃহকর্তা জালাল হত্যা মামলায় পুলিশের দেওয়া তদন্ত প্রতিবেদনে সাক্ষ্য শুনানি শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডসহ প্রত্যেকের পৃথকভাবে ২০ হাজার টাকা করে অর্থ দণ্ডাদেশ অনাদায়ে আরও ১ বছরের সাজা দিয়েছেন আদালত।’