কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
বড়বোনের সংসার জীবনে সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা গ্রহন করে সুফল না পাওয়ায় অজ্ঞাত পরিচয়ের মাধ্যমে মোবাইলে মেহেদী নামের কবিরাজের সাথে পরিচয় হয়। সে জ্বিনের বাদশা হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেয় এবং জানায় জ্বিনের মাধ্যমে সে মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের গর্ভধারণের বিষয়কে কেন্দ্র করে প্রতারণা মূলক ভাবেপ্রায় ৪ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে সে ভিকটিমের পরিবারের কৌশলে বিশ্বাস অর্জন করে তাদের জানায় যে বাড়ীর ভিতরে টাকার ড্যাগ আছে, জ্বিনের মাধ্যমে তা উঠিয়ে দেবে,এ কথা কাউকে বলা যাবেনা বলে বাড়ীর বিভিন্ন জায়গায় তাবিজ কবজ করে। এবং গত ০১ নভেম্বর ২০২২ তারিখ রাত আনুমানিক ১১ঃ০০ ঘটিকার সময় সে ভিকটিমের পরিবারের নিকট একটি প্যাকেট দেয় এবং এর ভিতরে স্বর্নের কয়েন আছে মর্মে জানায়। যার বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ০২ কোটি টাকা। তবে উক্ত কয়েন তাহাজ্জুদের নামাজের সময় ঘর অন্ধকার করে হাতে হাত মোজা পরে মোমবাতির আলো জ্বালিয়ে দেখতে হবে। উক্ত বিষয়ে স্বর্নের কয়েন দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১২ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারক।
পরবর্তীতে বাদী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পাওয়ার পর কুড়িগ্রাম সদর থানায় অভিযোগ করলে তাৎক্ষণিক ভাবে কুড়িগ্রাম সূর থানার একটি চৌকস টিম সুচারুভাবে প্রাথমিক তদন্ত ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে নিজেকে জ্বিনের বাদশা দাবি করা কবিরাজ মেহের আলী কে গ্রেফতার ও কয়েন, হরিনের চামরার টুকরো, মোবাইল ফোন, তাবিজ কবজ উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশ।
কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ রুহুল আমীন বলেন, গ্রেফতারকৃত আসামী দীর্ঘদিন ধরে চতুরতার সাথে গোল্ড কয়েনের লোভ দেখিয়ে নিজেকে জ্বিনের বাদশা পরিচয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করে জ্বিনের বাদশা পরিচয়দানকারী মেহেদী নামে পরিচয় দেওয়া প্রতারক মেহের আলীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।