বিশ্ব খাদ্য ফোরামের ফাঁকে ইতালির রোমে অবস্থিত জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) সদর দপ্তরে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জিবুতির প্রধানমন্ত্রী আব্দুলকাদির কামিল মোহাম্মদ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে দুই নেতা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে ছিল দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, জিবুতিতে বাংলাদেশের সফল ক্ষুদ্রঋণ মডেলের অনুসরণ, আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতি এবং রোহিঙ্গা সংকট।
বৈঠকে জিবুতির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ, অধ্যাপক ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করে তাঁকে জিবুতিতে একটি সুপরিচিত নাম বলে অভিহিত করেন। তিনি প্রধান উপদেষ্টাকে পূর্ব আফ্রিকার এই দেশটি পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণ জানান। জিবুতিতে ক্ষুদ্রঋণ কৌশল গ্রহণে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে জিবুতির নেতা বলেন, ‘ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ে আমাদের আপনার পরামর্শ প্রয়োজন।’
জবাবে অধ্যাপক ইউনূস এই আগ্রহকে স্বাগত জানান এবং জিবুতিকে একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে পাঠানোর পরামর্শ দেন। তাঁর মতে, প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশে এসে এখানকার ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম সরাসরি অভিজ্ঞতা নিতে পারবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বাংলাদেশের ক্ষুদ্রঋণ পরিচালনাকারী সংস্থাগুলো সারা বছর প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে, যা পরিদর্শক কর্মকর্তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী হতে পারে।
অধ্যাপক ইউনূস দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণের বিশাল সম্ভাবনার ওপর জোর দেন। তিনি প্রস্তাব করেন যে, জিবুতি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক ও ওষুধ আমদানি করতে পারে।
এই বৈঠকে জিবুতির ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক মন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। তিনি ক্ষুদ্রঋণ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে পরামর্শ চান।
বাংলাদেশের পক্ষে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার, এসডিজি সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং পররাষ্ট্র সচিব আসাদ আলম সিয়াম উপস্থিত ছিলেন।