সাগরিকাতে দুর্দান্ত ঢাকাকে টানা ১০ হারের লজ্জায় ডুবাল খুলনা টাইগার্স। একের পর এক পরাজয়ে ক্লান্ত ঢাকা এবার এনামুল হক বিজয়দের কাছে হারল ৫ উইকেটে। আর তাতেই পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল খুলনা। আফিফ হোসেন ধ্রুব অপরাজিত ছিলেন ৪৩ রানের ক্যামিওতে। ৪ ছক্কা ও ২ চারে এই দাপুটে ইনিংস সাজান আফিফ।
পরাজয়ের বৃত্ত থেকে যেন কোনভাবেই বের হতে পারছে না তাসকিন, মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ঢাকা। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে জয়ের পর টানা ১০ ম্যাচে তারা দেখল হার। লজ্জার রেকর্ডে আগেই তাদের শেষ হয়ে যায় সেমির আশা। বল হাতে ঢাকাকে আজ ১২৮ রানে থামিয়ে ব্যাট হাতে তাণ্ডব দেখান আফিফ হোসেন ধ্রুব। ২০৪ স্ট্রাইক রেটে তার খেলা ৪৩ রানের ইনিংসের কল্যাণে ২৮ বল বাকি থাকতেই খুলনা পায় ৫ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়।
১২৯ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়ায় নেমে শুরুর ডেলিভারিতেই ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের স্টাম্প উপড়ে ফেলেন শরিফুল। পাওয়ার প্লে তে শরিফুল যে আনপ্লেয়েবল, তা তিনি আবারও দেখালেন। শরিফুল নিজের পরের ওভারে এসেও তুলে নেন উইকেট। এবার তার শিকার ৪ রানে থাকা এভিন লুইস।
শুরুতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে ফেলা খুলনা এরপর অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় পারভেজ হোসেন ইমন আর শাই হোপের ব্যাটে। এই জুটিতে খুলনা কেবল ওপেনারদের হারানোর ধাক্কাই সামলে নেয়নি, রানের চাকায়ও এনে দিয়েছে গতি। তবে পঞ্চাশ করার আগেই তাদের এই জুটি ভেঙ্গে দেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা। ৪ ছক্কা ও ২ বাউন্ডারিতে ৩০ বলে পারভেজ ইমন করেন ৪০।
শাই হোপ অবশ্য এদিন ব্যাট করেছেন বেশ দেখে-শুনে। লক্ষ্য ছোট বলে রান তাড়ায় তাকে হতে হয়নি আক্রমণাত্মক। শেষপর্যন্ত দলীয় ৯৯ রানে হোপ নেন বিদায়। ২৮ বলে ৩২ রান করা হোপকে ফিরিয়ে ম্যাচে প্রথম উইকেটের দেখা পান তাসকিন আহমেদ। কোটার শেষ ওভার করতে এসে তাসকিন উইকেট সংখ্যা ডাবল করেন। ইনসাইড এজে বোল্ড হন ২ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়।
এরপর আফিফ হোসেন ধ্রুব আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন।