আব্দুর রশিদ, খুলনা :
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার উত্তর শৈলমারী হোগলবুনিয়া খেয়া ঘাট নামক স্থানে ট্রিপল এস বি (শেখ শরিফুল ইসলাম সুমন) ব্রিকস নামের অবৈধ ইট ভাটায় গত ইং ১১ জানুয়ারি (বুধবার) দুপুর আনুমানিক ২টার সময় পরিবেশ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আছিফুর রহমানের নেতৃত্বে ও জেলা কার্যালয় সমন্বয়ে এবং বটিয়াঘাটা থানা পুলিশের একটি সহ ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় এ অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানের সময় সরজমিনে দেখা গেছে, জনৈক সুমন নামের খুলনার এক ব্যক্তি বে-আইনিভাবে নদীর সরকারি জায়গা দখল করে ভেঁড়িবাদ দিয়ে ইট ভাটা(পাঁজা) স্থাপন করে ইট প্রস্তুত করছে এবং ব্যবহার করছে জ্বালানি কাঠ যা ইট ভাটা আইন ২০১৩ সংশোধিত ২০১৯ আইন অনুযায়ী অবৈধ। প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে এ উচ্ছেদ অভিযান চলে।
এ সময় ব্রিকসের কোন মালিক বা কর্মচারীকে পাওয়া যায়নি। মোঠফোনে মালিক সুমনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কল ধরেননি তিনি। অভিযান শেষে ইট ভাটায় প্রস্তুত প্রায় ৫০ হাজার পাকা ইট, ১ হাজার মন জ্বালানি কাঠ ও ইট প্রস্তুতের সরঞ্জাম ও যন্ত্রাংশ ১নং জলমা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান রায়ের জিম্মায় রাখা হয়।জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো আবু সাঈদ বলে, ইট ভাটা আইন ২০১৯ এ স্পষ্ট উল্লেখ আছে যে, অনুমতি ছাড়া ইট ভাটা স্থাপন ও ইট প্রস্তুত বে-আইনি। আমরা গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করি। এখানে বে-আইনি ভাবে তিনি ভাটা স্থাপন করেছে এবং ইট পোড়ানোর জন্য জ্বালানি কাঠ ব্যবহার করছে যা দৃশ্যমান ও আইন বিরোধী। আমরা জব্দকৃত মালামাল চেয়ারম্যানের জিম্মায় দিয়েছি। এসময়ে এলাকার অনেক লোক উপস্থিত ছিলেন।এ অভিযানে জনগন সন্তোষ প্রকাশ করেন। অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো আবু সাঈদ।