অবেশেষে কুষ্টিয়ার খোকসা সাস্থ্য কমপ্লেক্সে খোকসার কৃতি সন্তান অতিঃচীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বৈজয়ন্ত বিশ্বাস এর প্রচেষ্টায় সাপের প্রতিষেধক তথা এন্টিভেনম প্রদান প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ২৬/০৭/২২ তারিখে এই প্রশিক্ষণ শুরু হবে বলে জানান কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ আনোয়ারুল ইসলাম.
কুষ্টিয়া জেলার মোধ্যে খোকসাতে প্রতি বছর সাপের কামড়ে সবথেকে বেশি মানুষ মারা যায়। প্রতি বছর গরমের সময় বিশেষ করে বর্ষাকালে এই দুর্ঘটনা বেশি ঘটে। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তারদের সাপের প্রতিষেধক তথা এন্টিভেনম দেয়ার মত প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ না থাকার কারণে খোকসার জনসাধারণকে এই সেবা প্রদান করা সম্ভব হচ্ছিল না।
উল্লেখ্য গত পরশুদিন রাতে উপজেলার জানিপুর ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের প্রমীর প্রামাণিকের শিশু কন্যা অধোরাকে(০৫) সাপে কাটলে তাকে খোকসা হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে শিশুটিকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কুষ্টিয়া নেবার পথেই অধোরা মারা যায়। এই বিষয়টি নিয়ে অনেকেই খোকসার কৃতি সন্তান অতিঃ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বৈজয়ন্ত বিশ্বাস মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তিনি বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নেন। তিনি এই বিষয়ে সিভিল সার্জন, কুষ্টিয়া ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম মহোদয়ের সাথে কথা বলেন এবং অবিলম্বে এন্টিভেনম দেয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে অনুরোধ করেন। উল্লেখ্য, এন্টিভেনাম প্রদান বিষয়ে বাংলাদেশের সবথেকে অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তার মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ (সাবেক মহাপরিচালক, হেলথ সার্ভিসেস)। বৈজয়ন্ত বিশ্বাস স্যার ডাঃ মোঃ আব্দুল ফয়েজ মহোদয়ের সাথে কথা বলে তাঁকে খোকসা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারদের এন্টিভেনম বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবার অনুরোধ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ২৬/৭/২০২২ তারিখে খোকসা হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারদের অংশগ্রহণে এন্টিভেনম প্রয়োগ বিষয়ে বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও বৈজয়ন্ত বিশ্বাস মহোদয় খোকসা হাসপাতালে এন্টিভেনামের পর্যাপ্ত সরবরাহ বিষয়ে ডাঃ মোহাম্মদ রোবেদ আমিন (পরিচালক, NCDC) মহোদয়ের সাথে কথা বলেছেন।
এই বিষয়ে বৈজয়ন্ত বিশ্বাস বলেন আমার এলাকা খোকসাতে প্রতি বছর বিশেষ করে বর্ষাকালে অনেক মানুষ সাপের কামড়ে মারা যায়। সম্প্রতি সাপের কামড়ে শিশু অধোরার মৃত্যু আমাকে ভাবায়। আমি খোজ নিয়ে জানতে পারি খোকসা হাসপাতালে এন্টিভেনম থাকলেও এই প্রতিষেধক দেয়ার মত প্রশিক্ষিত ডাক্তার নেই । এই প্রশিক্ষণ দেয়া হলে আশা করা যায় সাপের কামড়ে মৃত্যুর হার অনেক কমে আসবে। আমি খোকসাবাসীদের প্রতি অনুরোধ করবো যেন সাপে কাটলে কুসংস্কারের বশবর্তী না হয়ে তাৎক্ষণিকভাবে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে যাবেন। কারণ রোগীকে যত দ্রুত ডাক্তারের কাছে নেয়া হবে ততই তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়বে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে লোকজন রোগীর অবস্থা অত্যন্ত খারাপের দিকে যাওয়ার পর ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। সে সময় করণীয় কিছু থাকে না। এই বিষয়ে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করছি।