কুষ্টিয়ার খোকসায় নেই কোন সরকারি-বেসরকারি বিনোদন পার্ক বা কেন্দ্র। স্থানীয়দের অবসর বা বিনোদনের মুহূর্তগুলোকে উপভোগ করার একমাত্র ভরসা গড়াই নদীর পাড়। এলাকাবাসীর দাবি এখানে বিনোদনপার্ক বা কেন্দ্র তৈরি করা হউক। স্থানীয় প্রশাসন বলছেন দ্রুতই নির্মাণ হবে বিনোদন স্পর্ট।
খোকসা থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। ৪০ বছরেও এই উপজেলায় কোন বিনোদন কেন্দ্র হয়নি। ২০০৪ সালে পৌরসভা গঠিত হলে পৌর এলাকার জনগন আশায় বুক বাধে। কিন্তু সে আশায় গুড়ে বালী। ৪ মেয়াদে নির্বাচন হলেও খোকসাবাসীর প্রাণের দাবী একটা বিনোদন কেন্দ্র, শিশু পার্কের দাবী অপূর্ণ রয়ে গ্যাছে আজও।
ছুটির দিনে বা অবসরে অনেকেই পরিবার-পরিজন নিয়ে ঘুরতে বের হয়। কিন্তু বিনোদনের ভাল কোন স্থান না পেয়ে নিরাশ হয়ে ফিরে যায় তারা। এ উপজেলায় এক সময় ঐতিহ্যকে ধারণ করে দর্শকদের মাতিয়ে রাখতো সুবুর্ণা,অপর্ণা এবং ‘শ্রাবন্তি সিনেমা হল। সুবর্ণা এবং অপর্ণা সিনেমা হল হয়েছে মার্কেট,শ্রাবন্তি মৃতপ্রায়। স্থানীয় সিনেমা প্রেমীরাও হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ এ উপজেলার আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ভিড় করলেও অনেকে তা করতে পারছেন না। কারণ সাধ থাকলেও তাদের সাধ্য নেই।
বর্তমান সরকারের আমলে উন্নয়নের জোয়ারে উপজেলার চিত্র কিছুটা পরিবর্তন হলেও বিনোদন কেন্দ্র নিয়ে নেই কারো কার্যকারী উদ্যোগ। এর প্রভাব পড়ছে শিশু থেকে শুরু করে উঠতি বয়সি যুবকদের উপর। শিশুদের মানসিক বিকাশ ব্যাহত হচ্ছে। যুবকদের সময় কাটে চায়ের দোকান, আর বাজারের কেরামবোর্ড ঘরে।
খোকসা জানিপুর পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা খাতুন বলেন, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য জরুরী ভাবে সাংস্কৃতিক জনপদ হিসেবে খ্যাত খোকসাতে একটি পার্ক বা বিনোদন কেন্দ্র গড়ে তোলা দরকার। এতে শিশুদের মানসিক বুদ্ধিমত্তার ব্যাপক বিস্তার ঘটবে।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রিপন বিশ্বাস বলেন, নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা নিয়ে গঠিত উপজেলায় শিশুদের সুস্থ বিনোদনের জন্য বিনোদন পার্ক নেই। গড়াই নদীর পাড়ে অত্যন্ত মনোরম পরিবেশে বিনোদন কেন্দ্র নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান তিনি।