কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: খোকসা পৌরসভার আবর্জনার একাধিক ভাগারসহ ড্রেনের পয়নিষ্কাষনের বর্জ্য গড়াই নদীতে নামিয়ে দেওয়ায় পানি দুষিত হচ্ছে। পদ্মা নদীর অন্যতম প্রধান শাখা গড়াই নদী। কুষ্টিয়ার মিরপুরের তালবাড়িয়া নদীটির উৎস্য মুখ। এ নদী মধুমতী, বলেশ্বরসহ একাধিক নাম নিয়ে বঙ্গপোসাগড়ে মিশেছে। জলবায়ু বিপর্য ও দুষন দখলে প্রমত্তা গড়াই নদীটি পানি শুন্য নদীতে পরিনত হয়েছে। নদী তীরের লাখ লাখ মানুষের কৃষি কাজ থেকে শুরু করে জীবন জীবীকায় নানা ভাবে ব্যবহার হয় এ নদীর পানি। কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা সদরের পৌর এলাকার প্রধান তিনটি পয়সিস্কাষনের ড্রেনের মুখ নদীতে নামিয়ে দেওয়ায় নদীর পনিতে নেংরা মিষে পানি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে উঠেছে। নদী তীরে বর্জ্যনের বিশাল বিশাল স্তুপ গড়ে তোলা হচ্ছে। পলিথিনসহ নানা ধরনের অপচনশীন দ্রব্য গড়াই নদীর পানিকে দুষিত করছে। খোকসা খেয়া ঘাটের শ্রমিক রমজান অভিযোগ করেন, নদীর তীরে অপরিকল্পিত কশাই খানা, পাশাপাশি ময়লার ভাগাড় শুধু নদী তিরের বসবাসকারীদের জীবনকে বিষিয়ে তোলেনি। গড়াই নদীর ভাটির কয়েকশ কিলোমিটার এলাকার পানি ও পরিবেশ দুষিত করছে। গড়াই নদী তীরের কালীবাড়ি পাড়ার শ্যামল হালদার জানান, নদী তীরে ময়লার ভাগারের আবর্জন নদীতে মিশে জাল ফেলার উপায় নেই। সামান্য যে পানি আছে তার মধ্যে শুধু পলিথিন আর পলিথিন। জাল ফেললে মাছ যা ওঠে তার চেয়ে বেশী ওঠে পলিথিন। সাংবাদিক ও পরিবেশবিদ আব্দুস সালাম বলেন, নদীর পানি দুষনে কারা ব্যবস্থা নেবেন সে সম্পর্কে কোন স্পস্টতা নেই। তাই যে যার মত নদীর পানি দুষন করছেন। আগামী প্রজন্মের জন্য বিষুদ্ধ পানি চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠছে। পৌর সভার মেয়র তারিকুল ইসলাম তারিক জানান, ময়লা নদীর বাইরে ফেলা হচ্ছে। তা ছাড়া স্থায়ীভাবে সমস্যা সমাধানের জন্য জায়গা খোজা হচ্ছে। কাজটি আসলে যাযাবরের মত সম্প্রদান করা হচ্ছে। স্থায়ী সমাধান করা হবে।