মহান ২১ শে ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে ধারণ করে বাংলাদেশের হারানো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে আশা পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি। দলের শীর্ষ নেতারা মঙ্গলবার এক আলোচনা সভায় এ আশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপির উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ ও সহপ্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের উন্নয়নে যা করেছেন তা বলে শেষ হবে না। বেগম খালেদা জিয়া সুন্দরভাবে দেশ পরিচালনা করেছিলেন। আবারও তার নেতৃত্বে বিএনপি সফল হবে। তার যোগ্য পুত্র তারেক রহমান দলের হাল ধরেছেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আজকে শেখ হাসিনার বদৌলতে ঘরে ঘরে শহীদ মিনার হওয়ার দশা। যদি গুম-খুনের হিসাব করেন, ৭৫ সালের দুর্ভিক্ষের হিসেব করেন, তাহলে দেখা যাবে ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আজও যদি হিসাব করেন যারা স্বাধীনতা রক্ষার দাবিদার তাদের হাতে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন দলের লক্ষাধিক নেতাকর্মী নিহত, ক্ষতিগ্রস্ত ও নির্যাতিত হয়েছেন। ফলে শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে লক্ষাধিক শহিদ মিনার উপহার দিয়েছেন।
তিনি বলেন, সুতরাং যেখানে নির্যাতন নিপীড়ন করে যেই পাকিস্তানের রক্ষা হয়নি। এই আওয়ামী লীগেরও শেষ রক্ষা হবে না
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, যে লক্ষ্য নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম সেটি আজ ভূলুণ্ঠিত। এই সরকার ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছে। গণতন্ত্র হত্যা করেছে। আমরা এই দুইটি ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছি।
সেলিমা রহমান বলেন, আমাদের সকল অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সেইসঙ্গে একাত্তর সালের মুক্তিযুদ্ধের বীজ বপন করা হয়েছিল। সেই আন্দোলন আমাদেরকে আজও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে অনুপ্রেরণা জোগায়।