গণমাধ্যম সংস্কারে কমিশন করতে যাচ্ছে সরকার। আগামী সপ্তাহে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন ঘোষণা করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তথ্য ভবনের সম্মেলনকক্ষে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের উদ্যোগে সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদকসহ অন্যান্য অংশীজনের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, আগামী সপ্তাহেই গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ঘোষণা হতে পারে। আমরা ইতিপূর্বে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলেছি, সে বিষয়টা আমরা নিশ্চিত করতে চাই। এটা শুধু মুখের কথা নয়, কাজে বাস্তবায়ন করতে চাই। এর জন্য একটা নীতিমালা প্রয়োজন। নীতিমালার জন্য দ্রুততম সময়ের মধ্যে কমিশন গঠিত হবে। আমি আশা করছি, হয়তো আগামী সপ্তাহে গণমাধ্যমের কমিশন গঠনের ঘোষণা দেওয়া সম্ভব হবে। ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ থেকে দেশে আসলেই, কমিশনের ঘোষণা আসবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা চাই অবশ্যই। কিন্তু আমি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে যেতে চাই, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার সীমা কতটুকু? আমরা জানি, স্বাধীনতা মানে স্বাধীনতাই, এখানে কোনো নিয়ন্ত্রণ চলে না। কিন্তু গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলে বা স্বাধীনতার মাধ্যমে ফ্যাসিস্টদের প্রচারণা করা যাবে কি না। স্বাধীনতার কথা বলে ফ্যাসিস্টদের পারপাস সার্ভ (উদ্দেশ্য সাধন) করা যাবে কি না। সে বিষয়টি আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে গেলাম।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, কোনো সাংবাদিকের সঙ্গে যদি কোনো অবিচার করা হয়, সে বিষয়টিও আমরা দেখব। তাকে যদি অন্য কোনো মামলায় দেওয়া হয়, যেটাতে তিনি যুক্ত ছিলেন না, সে বিষয়েও আমরা দেখব। যার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা আমাদের দেশ, আমাদের এই যে অভ্যুত্থান, সেটিকে প্রাধান্য রেখে, মানদণ্ড রেখে সব স্বাধীনতা কিন্তু নিশ্চিত করতে চাই। ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা কাজ করেছে বা উসকে দিয়েছে, তাদের সবাইকে বিচারের আওতায় আনা হবে। সে সাংবাদিক, কবি-সাহিত্যিক যে-ই হউক-তা বিবেচনায় নেওয়া হবে না।
এদিকে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (চলতি দায়িত্ব) আবুল কালাম মোহাম্মদ শামসুদ্দিনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় যোগ দেন সংবাদপত্রের প্রকাশক, সম্পাদক ও নির্বাহী সম্পাদকসহ জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা। এ সময় ঢাকা ও বাইরে থেকে আসা বিভিন্ন সংবাদপত্রের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকেরা নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।